সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাহসা আমিনির মৃত্যুতে কেঁদেছে গোটা দুনিয়া। চোখের জল ফেলেছে ইরানও। হিজাবের শিকল ভেঙে ফেলতে বেনজির গণউত্থানের সাক্ষী থেকেছে ইসলামিক দেশটি। তবে ‘মোল্লাতন্ত্রে’র নিয়ন্ত্রণে থাকা তেহরানে পরিস্থিতি বিশেষ পালটায়নি। রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন অব্যাহত।
এএফপি সূত্রে খবর, এবার শরিয়তের পোশাকবিধি বলবৎ করতে মহিলাদের জন্য বিশেষ বিল পাশ করল ইরানের পার্লামেন্ট। এর ফলে রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন যে কতটা চরমে উঠেছে তা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘IRNA’ জানিয়েছে, বুধবার ‘হিজাব ও সতীত্ব সমর্থন’ বিল পাশ করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিলে’র সবুজ সংকেত পেলেই তা আইনে পরিণত হবে। নতুন বিলটিতে বলা হয়েছে, বিদেশি সরকার, সংগঠন বা সংবাদমাধ্যমের প্ররোচনায় মহিলারা হিজাব না পরলে বা ‘অশ্লীল’ পোশাক পরলে পাঁচ থেকে দশ বছরের জেলের সাজা হতে পারে। অর্থাৎ, নীতি পুলিশিকে আইনের মোড়কে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের হিটলিস্টে কানাডার হিন্দুরা! ‘ঘরছাড়া’ করার হুমকি কুখ্যাত জঙ্গির]
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় ২২ বছরের কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির। ঠিকমতো হিজাব পরেননি, এটাই নাকি ছিল তাঁর অপরাধ। ওই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল। স্বৈরশাসকের বিরোধিতায় ইটালির বুকে তৈরি হওয়া ‘বেলা চাও’ গানটি গেয়ে ইরানের রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় মেয়েদের। হিজাব বিরোধী (Anti-Hijab) সেই আন্দোলনে শামিল হন পুরুষদের একাংশও। বেকায়দায় পড়লেও অবস্থান বদলে নারাজ ইরানের সরকার। তেহরানের দাবি, এই বিক্ষোভের পিছনে হাত রয়েছে আমেরিকার। প্রতিবাদ দমনে নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবোমা চালাতে দেখা গিয়েছে। দেওয়া হয়েছে ফাঁসির সাজা। এবার হিজাব আইন আরও কড়া করে প্রতিবাদীদেরই বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন।