সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের (Anti Hijab Protest) আঁচে ফের পুড়ল কাতার বিশ্বকাপ। এবার আসরে নামল ইরানের খামেনেই পন্থী রক্ষণশীলরা। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে হিজাব বিরোধীদের মারধর এবং নিগ্রহের অভিযোগ উঠল রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে।
আগের ম্যাচে কার্যত নজিরবিহীনভাবে জাতীয় সংগীত না গেয়ে হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছিলেন ইরানি (Iran) ফুটবলারা। যার জেরে নিজেদের দেশে কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। প্রশাসনের তরফে সাফ বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ফুটবলারদের শাস্তি পেতে হবে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের বার্তা দিতে ভোরিয়া গফুরি নামের সেদেশের এক ফুটবলারকে গ্রেপ্তারও করে তেহেরান প্রশাসন। গফুরি বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) দলের অংশ না হলেও তাঁর গ্রেপ্তারিতে কড়া বার্তা যায় বিশ্বকাপের ইরান শিবিরে।
[আরও পড়ুন: নাইট ক্লাবে গিয়ে দুধ খেতেন ইমরান খান! মজাদার তথ্য ফাঁস সতীর্থ আক্রমের]
শাসকের রক্তচক্ষুতে ইরানি ফুটবলাররা আর কোনও প্রতিবাদের পথে হাঁটেননি। তাঁরা এদিন যথারীতি ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন। ফুটবলাররা মাঠে বিদ্রোহে ইতি টানলেও গ্যালারিতে প্রতিবাদীর সংখ্যা কম ছিল না। এদিনও বহু ইরানি রক্ষণশীলতার প্রতিবাদে ইসলামিক আন্দোলন শুরুর আগের ইরানি পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু রক্ষণশীল শিবির পালটা এই বিদ্রোহীদের দেখামাত্রই তাঁদের উপর চড়াও হন বলে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর। সূত্রের খবর ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে এই রক্ষণশীলরা মুক্তমনাদের উপর হামলা চালিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কাতারি প্রশাসন মুখ খোলেনি।
[আরও পড়ুন:বাইনোকুলারে বিয়ার ভরে কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে দর্শক! ভাইরাল অভিনব কীর্তি]
এসবের মধ্যে কার্যত উপেক্ষিত থেকে গেল ইরানি ফুটবলারদের এদিনের পারফরম্যান্স। মাঠের বাইরে যখন সমর্থকদের মধ্যে মুষলপর্ব চলছে, তখন মাঠের ভিতরে দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছেন তাঁরা। শক্তিশালী ওয়েলসের (Wales) বিরুদ্ধে অনেকেই ইরানকে আন্ডারডগ ধরে নিচ্ছিলেন। কিন্তু খেলার মাঠে দেখা গেল ঠিক উলটো ছবি। ইনজুরি টাইমের অনবদ্য জোড়া গোলে বিশ্বকাপের প্রথম জয় চলে এল ইরানের ঝুলিতে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের বাইরে থেকে অনবদ্য গোল করে ইরানকে জয়ের সরণিতে এগিয়ে দেন রউজবে চেসিমি। পরের মিনিটে আরেকটি গোল করে ওয়েলসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতলেন রামিন রেজাইয়াঁ।