সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেনারেল কাশেম সোলেমানির হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক মার্কিন ‘চর’কে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান। ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডারের গোপন খবর আমেরিকার হতে তুলে দেওয়ার মামলা মাহমুদ মৌসাভি মজিদ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: করোনার মারে ৩.২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে ভারতের অর্থনীতি: বিশ্ব ব্যাংক]
মঙ্গলবার সোলেমানি হত্যার মামলা নিয়ে এক বিবৃতি দেন ইরানের বিচারবিভাগের মুখপাত্র গোলাম হুসেন ইসমাইলি। তিনি বলেন, “কাডস ফোর্স ও জেনারেল কাশেম সোলেমানির গতিবিধির বিষয়ে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও আমেরিকার সিআইএকে গোপন তথ্য পাচার করেছে মৌসাভি। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ায় অতি শীঘ্রই তাঁর সাজা কার্যকর করা হবে।” উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে ইরান জানিয়েছিল সিআইএ-র হয়ে কাজ করার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোলেমানিকে হত্যার পর আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কূটনৈতিক স্তরে পর্দার আড়ালে চলা আলোচনার মাধ্যমে শেষমেশ লড়াই এড়াতে সক্ষম হয় দুই যুযুধান দেশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় জেনারেল কাশেম সোলেমানির। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণ পরই সোলেমানির গাড়িতে আছড়ে পড়ে একের পর এক মিসাইল। একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোলেমানিকে নিকেশ করেছে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘MQ-9 Reaper’। একবার জ্বালানি ভরে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চলতে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমানটি। ‘MQ-9 Reaper’ ড্রোনটির সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ৪৮২ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা রাতেও যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি পরিষ্কার পাঠিয়ে দেয় সুদূর ঘাঁটিতে বসে থাক চালকের মনিটরে। মার্কিন বাযুসেনার এই ড্রোনটির প্রধান অস্ত্র ‘GBU-12 Paveway II’ লেসার গাইডেড বম্ব ও ‘AGM-114 Hellfire II’ ও ‘AIM-9 Sidewinder’ মিসাইল। পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোলেমানির কনভয়ে ‘Hellfire II’ মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন ড্রোন।
[আরও পড়ুন: করোনার মারে ৩.২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে ভারতের অর্থনীতি: বিশ্ব ব্যাংক]
The post জেনারেল সোলেমানি হত্যার বদলা, মার্কিন ‘গুপ্তচর’কে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান appeared first on Sangbad Pratidin.