সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত সংঘর্ষবিরতি থাকলেও একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে ইরান ও ইজরায়েল (Israel-Iran Conflict)। সোমবার ইজরায়েলের সেনাপ্রধান সাফ জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই ইরানের হামলার কড়া জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে ইরানের হুঁশিয়ারি, ইজরায়েল হামলা চালালে এমন অস্ত্র কাজে লাগানো হবে যা আগে কোনওদিন ব্যবহার করা হয়নি।
রবিবারের পর সোমবারেও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেনি ইজরায়েলের সরকার। তবে আমেরিকাকে নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েলকে রক্ষা করতে যা কিছু করতে হয়, সবই করা হবে। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি না করেই ইরানকে (Iran) 'পালটা মার' দিতে চায় ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: সরবজিৎ খুনের মূল অভিযুক্তকে লাহোরে হত্যা করেছে ভারতই! বিস্ফোরক অভিযোগ পাকিস্তানের]
এহেন পরিস্থিতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুই দেশের মন্তব্য ঘিরেই। সোমবার ইজরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেন, ইরানের হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। আপাতত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে সেনা। তবে ইরানকে কড়া জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে ইজরায়েল। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে পালটা দিয়েছে ইরানও। সেদেশের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী আলি বাঘেরি কেন বলেন, ইজরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইরান জবাব দেবে। প্রয়োজন পড়লে এমন অস্ত্রও কাজে লাগানো হবে যা আগে কোনওদিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চললেও আপাতত নিভেছে যুদ্ধের আগুন।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর থেকে ইজরায়েলের হামাস বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তেল আভিভের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। দুই ইরানি সেনাকর্তা-সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয় এই হামলায়। এই হামলায় ইজরায়েলের দিকেই আঙুল তুলেছিল ইরান। লাগাতার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর শনিবার ইজরায়েল লক্ষ্য করে মিসাইল ছোঁড়ে তারা। তবে নানা দেশের মধ্যস্থতায় পালটা আঘাতের পথে এখনও হাঁটেনি ইজরায়েল।