সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukarine) রাজধানী কিয়েভে হামলা করল ইরানের ড্রোন (Iranian Drone)। বুধবার কিয়েভের একটি আবাসনে মোট ছ’টি ড্রোন আছড়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানে তৈরি কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তবে ইরানের তরফে এই দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় মুখ খুলতে রাজি হয়নি রাশিয়া।
গত সপ্তাহেই গণভোটের ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। তারপর থেকেই ওই অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। ফলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ চলছে ইউক্রেনীয় সেনার। জানা গিয়েছে, বুধবার কিয়েভের কাছাকাছি একটি অঞ্চলের আবাসন লক্ষ্য ইরানি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করে রাশিয়া। তবে এখনও এই ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: মেক্সিকোর টাউন হলে গুলিবৃষ্টি, নিহত মেয়র-সহ ১৮]
ইউক্রেনের বায়ুসেনার তরফে বলা হয়েছে, রুশ অধিকৃত অঞ্চল থেকেই ড্রোন হামলা করা হয়েছে। ছ’টি ড্রোন আছড়ে পড়লেও আরও বেশ কয়েকটি ড্রোনকে আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া গিয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অনেকটা ছোট হওয়ার কারণে ইরানের এই ড্রোনের মোকাবিলা করা বেশ কঠিন।
রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভাল। তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে এর আগে ইরানের অস্ত্র ব্যবহার করেনি রাশিয়া। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার তথাকথিত ‘মিত্ররাষ্ট্র’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সরাসরিভাবে এবার তৃতীয় পক্ষের দেশগুলির নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সত্যিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে পৃথিবী? ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেন-দুই তরফ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেকোনোও মূল্যে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখবে তারা। ফলে আগামি দিনে আরও ভয়াবহ যুদ্ধ হতে চলেছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।