সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ করেই দেশের একমাত্র পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইরান (Iran)। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বুশেহারের পরমাণু চুল্লিটি বন্ধ করা হচ্ছে। শনিবার থেকে শুরুও হয়ে গিয়েছে কাজ। যা চলবে আগামী ৩-৪ দিন ধরে। এমনই খবর জানানো হয়েছে সেদেশের একাধিক সরকারি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু ঠিক কী কারণে চুল্লিটি বন্ধ করা হচ্ছে, তা জানা যায়নি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার থেকে পরমাণু চুল্লিটি বন্ধ করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আপতকালীন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে চুল্লিটি বন্ধ করার কাজ চলবে। কিন্তু ঠিক কী কারণে আচমকাই এই চুল্লিটি বন্ধ করা হচ্ছে, তা জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে আফগানিস্তান, প্রিয়জনকে বাঁচাতে ‘প্রাণবায়ু’ ভিক্ষা আমজনতার]
নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বরাবরই আন্তর্জাতিক মঞ্চের নজরে থাকে ইরান। আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এই নিয়ে বিবাদেও জড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ২০১১ সালে দেশটির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত বন্দর শহর বুশেহারে মূলত রাশিয়ার সহায়তায় পরমাণু চুল্লিটি চালু করে ইরান। এটি পরিচালনা করতে যে ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, তাও আসে রাশিয়া থেকেই। আর এই চুল্লিটির উপর নজরদারি চালায় United Nations’ International Atomic Energy Agency। এর আগে চলতি বছরের মার্চেই ইরানের পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত দপ্তরের অধিকর্তা মাহমুদ জাফরি জানিয়েছিলেন, বুশাহারের এই পরমাণু চুল্লিটি যেকোনও দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২০১৮ সালে আমেরিকার জারি করা নিষেধাজ্ঞার কারণে পরমাণু চুল্লিটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা যাচ্ছে না। আর সেকারণেই এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সাল থেকেই বুশেহারের পরমাণু চুল্লিটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ১৯৭৯ ইসলামিক বিপ্লবের পরও চুল্লি তৈরির কাজ জারি ছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় চুল্লিটিকে বারবার নিশানাও করা হয়েছিল। শেষে এটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে রাশিয়াই। কিন্তু এবার সেই পরমাণু চুল্লিটিই আচমকা বন্ধ করা হচ্ছে। এদিকে, সম্প্রতি সেদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। হাসান রৌহানির জায়গায় ইরানের নবতম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ক্ষমতায় বসার পরই এমন সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।