আশিস বেরা, উপ কৃষি অধিকর্তা, বাঁকুড়া: অনুসেচের মাধ্যমে এবার ফসল ফলবে বাঁকুড়ার রুক্ষ মাটিতে। এই বিষয়ে উদ্যোগ নিল জেলা কৃষি দপ্তর। বাঁকুড়া জেলার তিন মহকুমা খাতড়া, বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়ায় চাষ হবে অনুসেচের মাধ্যমে। অনুসেচে অর্থাৎ কম জলে কীভাবে এখানে বিভিন্ন বাগান করা যায় তা হাতে কলমে শেখানো হয়েছে কৃষকদের। এক্ষেত্রে বাগিচা ফসল প্রকল্পকেই গুরুত্ব দিয়েছে কৃষি দপ্তর। বাঁকুড়া জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা আশিস বেরা বলেন, ‘‘এখানকার মাটি অত্যন্ত রুক্ষ ও শুকনো। তাছাড়া এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম। তাই কম জলে কীভাবে এই জমিতে ফসল ফলানো যায় সেই উদ্যোগ নিয়েছি।’’
[ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল কালো করার মোক্ষম জিনিস চা]
জেলার রাইপুর, রানিবাঁধ, হীড়বাঁধ, ইন্দপুর, ছাতনা এবং শালতোড়া এই ছয়টি ব্লকে আপাতত বাগিচা ফসল প্রকল্প করা হয়েছে। ৬৫০০ একর জমিতে এই প্রকল্পে বিভিন্ন বাগান তৈরি করা হয়েছে। ফলে ৬৫০০ টি পরিবার বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। ২৬০০০টি আমের চারা সহ বিভিন্ন ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে অনুসেচের মাধ্যমে। তাছাড়া বাগিচা ফসল প্রকল্পে ক্সইন্টার ক্রপিংক্স করে বিভিন্ন শাক সবজি লাগানোর সুবিধা রয়েছে।
[পর্যটক টানতে এবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে ‘শচীন-সৌরভ’ যুগলবন্দি]
জেলা কৃষি দপ্তরের সহায়তায় হীড়বাঁধের বেলডি, বিরাডি, ভুয়াকানা-সহ নানা জায়গায় বাগিচা ফসল প্রকল্পকে জোর কদমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হীড়বাঁধ রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রম। ‘পার ড্রপ মোর ক্রপ’ থিওরিকে কাজে লাগিয়ে এখানকার রুক্ষ শুকনো মাটিতে দারুণ সাফল্য পেয়েছে বাগিচা ফসল প্রকল্প। তাই জেলার বিভিন্ন ব্লকের চাষিদের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে অনুসেচের বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছে কৃষি দপ্তর। হীড়বাঁধ রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রমের কো-অর্ডিনেটর কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখানকার মাটি মূলত রুক্ষ ও শুকনো। তাই অল্প জলে চাষ করে আমরা প্রচুর আমের বাগান, কাজু গাছের বাগান তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে এখানকার কৃষকদের কাছে অনুসেচের পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’’
The post অনুসেচের মাধ্যমে এবার ফসল ফলবে বাঁকুড়ার রুক্ষ মাটিতে appeared first on Sangbad Pratidin.