সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা এবং ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ইস্যুতে ফের কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল ‘ইন্ডিয়া’-র দুই শরিক, বিহারে ক্ষমতাসীন জোটের দুই শরিক আরজেডি এবং জেডিইউ। মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের বৈঠক থেকে ফিরে শনিবার পাটনায় পৃথকভাবে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং RJD নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav। উল্লেখ্য, আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানে ‘এক দেশ এক ভোট’-সহ বিভিন্ন বিল পেশ হতে পারে বলে জল্পনা।
এদিন নীতীশ বলেন, “এই বিশেষ অধিবেশনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। আমি কিছু দিন ধরেই বলে আসছি, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা হবে। সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশন এই উদ্দেশ্যেই।” উল্লেখ্য, এর আগেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে কেন্দ্রের মোদি সরকার লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে চাইছে। গত মঙ্গলবার নালন্দায় দলের একটি কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “বিজেপি ভয় পাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী ঐক্য আরও দৃঢ় হয়ে উঠবে। তাই ওরা লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে পারে।”
[আরও পড়ুন: ফের যোগীরাজ্যে ধর্ষণ করে খুন! জাতীয় সড়কে পড়ে বাক্সবন্দি অর্ধদগ্ধ তরুণীর দেহ]
এমনকী, কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি কর্মসূচিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ‘‘কিছুদিন পরেই লোকসভা ভোট রয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে, এরা ডিসেম্বরে না লোকসভা নির্বাচন করে দেয়! জানুয়ারিতেও করে দিতে পারে। এদের কেউ বিশ্বাস করতে পারে না।”
এদিকে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এদিন অভিযোগ করেন যে বিজেপি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পরিকল্পনার মাধ্যমে ‘গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ দখল’ করতে চায়। তিনি বলেন, “ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনের পর তারা বলবে ওয়ান নেশন, ওয়ান পার্টি।” এর পরেই তিনি বলেন, “এক দেশ, এক নির্বাচন-এর আগে এক দেশ, এক রোজগার নীতি তৈরি করা উচিত। প্রথমে, জনগণের প্রতি আর্থিক ন্যায়বিচার করুন। ওরা (বিজেপি) পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। পরে, ওরা বলবে ‘এক জাতি এক নেতা’, ‘এক জাতি এক দল’। তারা কোন পথে যাচ্ছে? ‘এক জাতি, এক ধর্ম’। এগুলো অর্থহীন কথাবার্তা।”
[আরও পড়ুন: ডার্বির টিকিটের ব্যাপক কালোবাজারি! ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছ থেকে গ্রেপ্তার ৪ ব্ল্যাকার]
বিরোধী ব্লক ‘ইন্ডিয়া’-র কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য তেজস্বী বলেন, “দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী বিকল্প চাইছে এবং আমরা (ইন্ডিয়া) তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।” লোকসভা নির্বাচন এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র সরকার।