মণিশংকর চৌধুরী: আর শুধু ভাঙড়ের দল নয় আইএসএফ। এবার গোটা রাজ্যের দিকে নজর নওশাদদের। শোনা যাচ্ছে, লোকসভায় অন্তত গোটা ১০-১২ আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে আইএসএফ। সেজন্য যদি সিপিএম বা কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা নাও হয়, তাতেও আপত্তি নেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front)।
সূত্রের খবর, ফুরফুরা শরিফকে কেন্দ্র করেই আগামী দিনে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট দখলে আনার চেষ্টা শুরু করতে চলেছে ‘ভাইজানে’র দল। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ফুরফুরায় পঞ্চায়েত পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছে আইএসএফ। ওইদিনই লোকসভার (Lok Sabha 2024) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়ে যেতে পারে। এখনও কিছু চূড়ান্ত না হলেও আইএসএফ রাজ্যের অন্তত ১০-১২টি আসনকে টার্গেট করবে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে একাধিক আসনে প্রার্থী হতে পারেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাই।
[আরও পড়ুন: ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’, ‘জওয়ান’-এর রুদ্ধশ্বাস ট্রেলারে রবিনহুড শাহরুখ]
নওশাদ (Nawsad Siddiqui) ঘনিষ্ঠ এক আইএসএফ নেতা বলছেন,”লোকসভা নিয়ে এখনও সেভাবে কিছু ঠিক হয়নি। তবে হ্যাঁ, এবার আমরা গোটা রাজ্যের কথা ভাবছি। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভায়। ৬ তারিখ ফুরফুরায় পঞ্চায়েত পর্যালোচনা বৈঠক হবে। সেদিনই লোকসভা নিয়ে আলোচনা হবে।” ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় যে আইএসএফ বাড়তি গুরুত্ব দেবে, সেটা অবশ্য অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। নওশাদ সিদ্দিকি নিজে জানিয়েছিলেন, দল অনুমতি দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চান। যদিও সেটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তৃণমূল অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছে, আইএসএফ কটা আসনে প্রার্থী দেবে, কোথায় প্রার্থী দেবে, সবটাই দিল্লি থেকে বিজেপি ঠিক করে দেয়। এতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।
[আরও পড়ুন: মিলল কেন্দ্রের অনুমতি, রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে স্পেন ও দুবাই যাচ্ছেন মমতা]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে আইএসএফ যে শুধু সংখ্যালঘুপ্রধান আসন টার্গেট করছে তা নয়। শোনা যাচ্ছে, উলুবেড়িয়া, বারাসাত, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদের তিনটি আসন, মালদহের দু’টি আসন, রায়গঞ্জের মতো আসনের পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতো আদিবাসী এলাকাতেও নজর রয়েছে নওশাদদের। আসলে এবারে আইএসএফ দ্বিমুখী নীতি নিচ্ছে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু আসনে যেমন তাঁরা ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে। তেমনি সিপিএমকেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন নওশাদরা। তাঁরা যে জোটের ভরসায় সামান্য কিছু আসনে নিজেদের গুঁটিয়ে রাখবে না, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে আইএসএফ শিবির।