অর্ণব দাস, বারাসত: আমডাঙার ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেগঙ্গায়। দলবদলের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঘরওয়াপসি করলেন আইএসএফ নেতা। দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতের এই ঘটনা চর্চায় এসেছে। পরিবারের চাপেই তিনি আইএসএফে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন নূরনগর পঞ্চায়েতের সদস্য নুর ইসলাম মোল্লা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ব্লকের নূরনগর পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে বিরোধী আইএসএফের দখলে ছিল ৬টি আসন এবং বামেরা পেয়েছিল ৭টি আসন। বাকি সবকটি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। এই পঞ্চায়েতেরই আইএসএফের সদস্য নুর ইসলাম মোল্লা শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের কর্মিসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বারাসত লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যোগদানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেগঙ্গা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নাটকীয়ভাবে পট পরিবর্তন ঘটে।
[আরও পড়ুন: হুকিং করে ঝুপড়িতে এসি চালাচ্ছেন কাগজ কুড়ানি! বিস্মিত মেয়র পারিষদ]
স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্বের হাত ধরে ফের পুরনো দলে যোগ দেন নুর ইসলাম মোল্লা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, "স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। তাই, ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। কেউ জোর করেননি। কিন্তু বাড়িতে ফিরে ছেলেদের চাপেই ফের আইএসএফে যোগ দিয়েছি।"
যদিও এই ঘটনায় ভোটে তৃণমূলের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ। তিনি বলেন, "শুধু আইএসএফ থেকেই নয়, সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্লক এবং বিজেপি থেকেও এদিন বহু কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। নূর ইসলামও তাঁদের মধ্যে একজন ছিল। তাঁর ছেলেরা সবাই আইএসএফ করেন। তাই বাড়িতে ফেরার পর ছেলেদের চাপেই সে ফের আইএসএফে ফিরে গিয়েছেন। তবে, এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। দেগঙ্গার মানুষ তৃণমূলের প্রার্থীকেই জয়ী করবেন।"