সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার তথ্য হাতাতে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফেক অ্যাকাউন্ট বানাচ্ছে আইএসআই (ISI)। সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে নিশানা করা হচ্ছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL) বা হ্যালের কর্মীদের। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে গোপনীয় তথ্য। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এটিএসের তদন্তে।
গোপনীয় তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ গত মাসেই হ্যালের এক কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে জেরা করেই এহেন চক্রান্তের কথা জানতে পরেছে মহারাষ্ট্র এটিএস (ATS)। এরপরই হ্যালের কর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর রাখছে তাদের সাইবার শাখা।
[আরও পড়ুন: গুপ্তধনের লোভে ছেলে-সহ ৪ নাবালককে বলি দেওয়ার চেষ্টা, অভিযুক্ত বাবা]
গত মাসে হ্যালের নাসিক শাখার অ্যাসিট্যান্ট সুপার ভাইজার দীপক সীরসাতকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র এটিএস। তাকে জেরা করতেই আইএসআইয়ের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়। সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় দীপকের। সেই মহিলা নিজেকে লন্ডনের মডেল হিসেবে পরিচয় দেয়। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মহিলা দীপককে জানিয়েছিল, তাঁর অ্যারোনটিক্সে আগ্রহ আছে। কিন্তু সেই পেশায় আসতে পারেনি। তাঁকে ইমপ্রেস করতে দীপকও হ্যালের বিভিন্ন ছবি, তথ্য তাকে দিতে শুরু করে। যদিও পরে দীপককে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে সে। এটিএসের ধারনা, একা দীপক নয়, হ্যালের একাধিক কর্মীকে একইভাবে ফাঁদে ফেলছে আইএসআই। তাদের নয়া ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া।
এটিএসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে দীপকের সঙ্গে ওই মহিলার আলাপ হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ওই তথ্য পাচার করল দীপক। হোয়াটস অ্যাপ-সহ একাধিক চ্যাটিং অ্যাপে দুজনের কথা হত। সেখানে গোপন তথ্যও পাচার করা হত বলে খবর। ভারতীয় যুদ্ধবিমানের খুঁটিনাটি ও হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেডে (HAL) বিমান তৈরির প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য নাসিকের এক ব্যক্তি বিদেশিদের পাচার করছিল বলে খবর পেয়েছিল এটিএস (ATS)। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে সন্দেহভাজনদের জেরা করতে শুরু করে এটিএস। জেরায় জানা যায়, ধৃত পাকিস্তানি আইএসআইয়ের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। ওই গোয়েন্দা সংস্থার চরদের ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গোপনীয় তথ্য পাচার করত।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাকে ঠাঁই দিল না কাশ্মীরের হাসপাতাল, রাস্তাতেই সন্তান প্রসব]
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্রেফ যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত তথ্যই পাচার করেনি। সঙ্গে হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেডের গোপনীয় তথ্য, নাসিকের ওজরের যুদ্ধবিমান তৈরি ইউনিটের তথ্যও পৌঁছে দিয়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। সূত্রের খবর, ওজরের ভিতরের বিমানঘাঁটির গোপনীয় তথ্যও পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানে।