সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাম্প্রদায়িক হিংসাকে কেন্দ্র করে ফুটছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ধর্মীয় উন্মাদনার জেরে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। একের পর এক মন্দিরে চলে ভাঙচুর। এহেন সংকট কালে ইসকন মন্দিরেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে মন্দিরের এক সদস্যকে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ শেখ হাসিনার]
শুক্রবার অর্থাৎ বিজয় দশমীর দিন নোয়াখালি জেলার ইসকন মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। কোরান ‘অবমাননার’ অছিলায় চলে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানটিতে ভাঙচুর। ফলে মন্দিরের পরিকাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকে খুন করে হামলাকারীরা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হামলার ঘটনাটি তুলে ধরছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন। এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উসকানিমুলক পোস্টকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় একাধিক মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আগেই রিপোর্ট ছিল, পুজোর উৎসব ম্লান করতে তৎপর মৌলবাদীরা। দুষ্কৃতীরা শেখ হাসিনা প্রশাসনকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে দুর্গাপুজোর মাঝে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্ট করতে সক্রিয় জঙ্গিরা। কিন্তু প্রশাসনের সময়োচিত হস্তক্ষেপে তা বড় আকারে ঘটতে পারেনি। বড়সড় ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গিয়েছে। কুমিল্লা কাণ্ডে দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।