সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona Virus) ভাইরাসের ফলে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সিনেমা সংক্রান্ত ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে শিশুরা। ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’ (Iskule Bioscope) নামের পেজ থেকে ‘ছোটদের সৌমিত্র’ নামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore), গৌতম ঘোষ (Goutam Ghosh), অতনু ঘোষ (Atanu Ghosh), রূপক সাহা (Rupak Saha) ও সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা।
২০টি স্কুলের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করবে এই ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে। প্রয়াত কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে (Soumitra Chatterjee) নিয়ে আলোচনা ছাড়াও থাকবে তাঁর অভিনীত ছোটদের চলচ্চিত্রগুলির উপর কিছু প্রতিযোগিতামূলক ও সৃজনশীল কাজকর্ম। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিজয়ীদের সকলকে ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপে’র পক্ষ থেকে শংসাপত্রও দেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারচুয়াল মাধ্যমেই উপস্থিত থাকবেন সৌমিত্র-কন্যা তথা নাট্যব্যক্তিত্ব পৌলমী বসু (Poulami Bose), অতনু ঘোষ, অমিতাভ নাগ, রূপক সাহা (কর্নধার,শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স)। আগামী ১৮ জুন বিকেল ৫টা নাগাদ ইস্কুলে বায়োস্কোপের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে। সঞ্চালনা করবেন এস. ভি. রামণ।
[আরও পড়ুন: উন্মুক্ত শরীরে মাখানো কাদা, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল উর্বশীর ছবি]
২০১৭ সাল থেকে বেঙ্গালুরু-নিবাসী বাঙালী কৌশিক চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে ইস্কুলে বায়োস্কোপের যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫টি স্কুলে গিয়ে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো বাংলা সিনেমা দেখানো হত। কখনও সত্যজিৎ রায়, কখনও সন্দীপ রায়, কখনও ঋতুপর্ণ ঘোষ, কখনও তপন সিংহ, কখনও নীতিশ রায়, কখনও আবার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বানানো সিনেমা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোরঞ্জন করানো হত। কিন্তু অতিমারী পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ নেই। তাই ভারচুয়াল মাধ্যমেই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে।
এবছর সমগ্র অনুষ্ঠানটি নিবেদন করছেন শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স। সংস্থার কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, ” এই সুন্দর উদ্যোগে আমরা অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এরকম ভাবনায় এক অভিনবত্ব আছে। আশা করি সকলের এই উদ্যোগ ভাল লাগবে।”
কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা সিনেমার জন্য কিছু একটা করতে না পারলে যেন স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। তাই, একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করলাম। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষা ও সিনেমার মেলবন্ধনই ছিল সেই ব্লু-প্রিন্টের মূল বিষয়। যোগাযোগ করতে শুরু করলাম শিক্ষা ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে। শেষমেশ অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার চৌধুরীর সাহায্যে পৌঁছলাম চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (সিএফএসআই)-র দরবারে। গৃহীত হল প্রস্তাব, আর কাজও শুরু হল। ইতিমধ্যে আমরা একশোটির কাছাকাছি ইস্কুলের প্রায় এক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে গিয়ে পৌঁছতে পেরেছি। এই অভ্যাসকে ধরে রাখতে যদি আমরা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও অভিভাবকরা সবসময় তাদের পাশে থাকি, আগামী দিনে এরাই হয়ে উঠবে বাংলা সিনেমার একনিষ্ঠ দর্শক।”