সব্যসাচী বাগচী: যুগ যুগ ধরে সমর্থকদের আবেগ প্রকাশের মঞ্চ গ্যালারি। শোক-দুঃখ-হাসি-কান্না হাত ধরাধরি করে হাঁটে এই গ্যালারিতে। এখন আগের থেকেও রঙিন গ্যালারি। এখনও সেখানে রয়েছে গান। রয়েছে মেক্সিকান ওয়েভ, ভুভুজেলা! সেই সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে টিফো। লম্বা ব্যানার। সেই ব্যানারে রঙিন ভাবনা।
সৃজনশীলতা, বার্তা পাঠানোর মতো মুদ্রিত হরফ অথবা ছবি, এই টিফো এখন চায়ের কাপে ঝড় তুলছে। ফুটবলের পাশাপাশি আলোচনার পরিসর বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারও প্রতি সম্মান প্রদর্শন থেকে প্রতিপক্ষের উদ্দেশে চোখরাঙানি, সবটাই এই টিফোর মাধ্যমে গ্যালারিতে ফুটিয়ে তোলা শুরু করেছেন ফুটবল সমর্থকরা। শনিবারের যুবভারতীতেও দেখা গেল বেশ কিছু অভিনব টিফো। মোহনবাগান সমর্থকরা টিফোর মাধ্যমে যেমন স্মরণ করলেন প্রাক্তন ফুটবলারদের। তেমনই আবার টিফোর মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের গেরুয়া ঝড়, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সান্ত্বনা পুরস্কার কংগ্রেসের]
শনিবার যুবভারতীতে বেশ কয়েকটি নজরকাড়া টিফো লাগানো হয়েছিল। তবে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া টিফোটি এনেছিল “মেরিনার্স বেসক্যাম্প নামে মোহনবাগানের আল্ট্রাস গ্রুপটি”। টিফোর মাধ্যমেই তারা ময়দানের সেইসব কিংবদন্তিদের স্মরণ করল যারা সাম্প্রতিক অতীতে প্রয়াত হয়েছেন। সেই তালিকায় যেমন মারাদোনা-পিকে-চুনী-পেলেদের মতো মাঠ কাঁপানো ফুটবলাররা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন ময়দানের পরিচিত একাধিক মুখ। সন্দীপ ময়রা, অনির্বাণ নন্দী, অর্জুন গঙ্গোপাধ্যায়দের মতো সমর্থকদের ছবি ছিল ওই টিফোতে। টিফোতে ছিলেন বিখ্যাত চিত্র সাংবাদিক রনি রায় এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞ নোভি কাপাডিয়াও।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে বৈশ্বিক পরিকাঠামোর ডাক, ইঙ্গিতে চিন-পাকিস্তানকেই কাঠগড়ায় তুললেন মোদি]
এছাড়াও একাধিক টিফো শনিবারের যুবভারতীতে নজর কেড়েছে। এর মধ্যে যেমন মোহনবাগান দলকে মানি হাইস্টের কেন্দ্রীয় চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করা টিফো রয়েছে, তেমনই রয়েছে মোহনবাগানকে দেশের সেরা এবং সবচেয়ে সফল ক্লাব হিসাবে দাবি করা টিফো।