স্টাফ রিপোর্টার: ISL-এর সেমিফাইনালের আগেই চিন্তায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কারণ শনিবারের ম্যাচে দলের ডিফেন্সের অন্যতম স্তম্ভ সন্দেশ জিঙ্ঘানকে পাচ্ছে না এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। বৃহস্পতিবার অনুশীলনে সন্দেশের চোটের গুরুত্ব বুঝে আর তাঁকে নামানোর সাহস পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন শিবির। তাই ঠিক হয়েছে, সন্দেশকে বাদ দিয়েই খেলতে নামবে হাবাস বাহিনী। প্রশ্ন হল, সন্দেশ না খেললে তাঁর জায়গায় খেলবেন কে? মুম্বই সিটি (Mumbai City FC) ম্যাচে চোট পেয়ে বসে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ। তবে তিনি আসলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে খেলেন। ফলে তাঁকে ডিফেন্সে নিয়ে এলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তবে কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরছেন শুভাশিস বসু। ডিপ ডিফেন্সে খেলতে পারেন শুভাশিস। হাবাস কোন সিস্টেমে খেলবেন এখনও তা ঠিক করে উঠতে পারেননি। যদি ৩-৫-২ ফরমেশনে খেলেন তাহলে শুভাশিস-তিরি-প্রীতম কোটালকে রাখা যেতে পারে। তাহলে কার্লকে ডিফেন্সের উপরে স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
তবে নর্থ-ইস্টকে প্রচন্ড গুরুত্ব দিচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। বিশেষ করে তাদের ধারাবাহিকতা দেখে সবুজ-মেরুন শিবির প্রচন্ড চিন্তিত। আসলে মাচাডো, গ্যালাগো-র সঙ্গে জানুয়ারিতে সই করা ব্রাউন আসায় দলের ফরোয়ার্ড লাইন প্রচন্ড শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। মাচাডো, গ্যালাগোরা প্রায় প্রতিটি ম্যাচে গোল করে চলেছেন। তার উপর ভারতীয়দের মধ্যে মাপুইয়া এই মুহূর্তে মাঝমাঠে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়ে নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিম ম্যানেজমেন্টের এক অন্যতম সদস্য বলছিলেন, “ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছে নর্থ-ইস্ট। টানা তারা জিতে আসছে। তার মানে ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে ডিফেন্সও ভাল খেলে চলেছে। ফলে দলটার মধ্যে একটা বাঁধন এসে গিয়েছে। এই দলকে হারানো খুব সহজ হবে না। তাছাড়া তারা প্রথম ফাইনাল খেলার স্বাদ পেতে চলেছে। তাই তারা মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে আমাদের বিপক্ষে। সেইজন্য আমাদের সবসময় ওদের প্রত্যেকের উপর কড়া নজরে রাখতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ফের স্পিনেই কাবু ইংরেজরা, আহমেদাবাদ টেস্টের প্রথম দিনের শেষে এগিয়ে ভারত]
এটিকে মোহনবাগান শিবিরকে ভাবাচ্ছে ডেডবল। ১৫টা গোল খেয়েছে দল। তার মধ্যে সাতটা গোল হয়েছে সেটপিস থেকে। মুম্বইয়ের কাছে দু’গোল খাওয়ার পিছনেও ছিল সেই দুটো সেটপিস। তাই হাবাস এই ব্যাপারটার উপর বেশ করে নজর দিচ্ছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যটি বলেই ফেললেন, “আমাদের ডিফেন্সকে হেলাফেলা করে গোল করে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। সেটপিস থেকে বেশিরভাগ আমরা গোল খেয়েছি। সবচেয়ে কম গোল খাওয়া দলের মধ্যে আমরাই পড়ি। তা সত্ত্বেও সেটপিস আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তার জন্য কীভাবে কাকে কে ম্যান মার্কিং করবে তা বারবার করে তুলে ধরা হচ্ছে। এদিনের অনুশীলনে সেটাই আমরা বারবার বুঝিয়েছি।”