মোহনবাগান: ২ (কার্ল ম্যাকহিউ ২)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ১ (দিমিত্রোস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষপর্যন্ত আইএসএলের (ISL) প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করল মোহনবাগান। শনিবার যুবভারতীতে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এলেন বুমোস, পেত্রাতোসরা। জয়ের ফলে ডার্বির আগে স্বস্তি ফিরল সবুজ-মেরুন শিবিরে।
মোহনবাগানের (Mohun Bagan) জন্য লড়াই ছিল টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকার। লড়াই ছিল ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার। প্রতিপক্ষও নেহাত সহজ ছিল না। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে নিজেদের সেরাটা বের করে আনল মোহনবাগান। গোলমুখে ভুরি ভুরি সুযোগ নষ্ট করার মুদ্রাদোষ বাদ দিলে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঝকঝকে মোহনবাগানকে দেখা গেল।
[আরও পড়ুন: দিল্লি টেস্টে দ্বিতীয় দিন পন্থের অভাব মেটালেন অক্ষর, আউট হয়ে রেগে আগুন কোহলি]
এদিন ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল ঝড়ের গতিতে। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল কেরালা। তাঁদের এগিয়ে দিয়েছিল দিমিত্রাস। কিন্তু মোহনবাগান জানত ডার্বির আগে যদি প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে কেরালাকে হারাতেই হবে। সেই তাগিদটাই সম্ভবত তাতিয়ে দিয়েছিল কার্ল ম্যাকহিউকে। মাঝমাঠ থেকে বারবার তিনি উঠে যাচ্ছিলেন ফরওয়ার্ডে। যার ফল তিনি পেলেন ম্যাচের ২৩ মিনিটে। অনবদ্য গোল করে ২৩ মিনিটে সমতা ফেরালেন তিনি। সমতা ফেরার পর মোহনবাগান যেন ঝাপাল দ্বিগুণ জেদে। পেত্রাতোস, মনবীর, বুমোসদের আটকে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল কেরালার ডিফেন্ডারদের জন্য। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে গোল আসছিল না।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় প্রথম AI কোর্স সেন্ট জেভিয়ার্সে, ক্যাম্পাসেই বিমানের ভিতর এভিয়েশনের ক্লাসরুম!]
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ায় সবুজ-মেরুন। একটি নিশ্চিত পেনাল্টিও তাঁরা পায়নি। একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো গোলমুখে ব্যর্থতা ফের ডুবিয়ে দেবে সবুজ-মেরুনকে। ঠিক তখনই কেরলের রাহুল কেপি লালকার্ড দেখে বসেন। গোলমুখ আরও খুলে যায়। কিন্তু তাতেও গোল আসছিল না। শেষপর্যন্ত সেই ম্যাকহিউকেই আসরে নামতে হয়। ম্যাচের ৭১ মিনিটে বক্সের ধার থেকে অবিশ্বাস্য গোল করেন তিনি। সেই গোলেই মোহনবাগানের জয় এবং প্লে-অফ নিশ্চিত করে দেয়। এই মুহূর্তে ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে মোহনবাগান।