শিলাজিৎ সরকার: ভুটানে গিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আইএসএলে টানা ব্যর্থতা। হারের ডবল হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত লাল-হলুদ বাহিনী। এবার সামনে মহামেডান। আরও একটি ডার্বি। অস্কার ব্রুজোর হাত ধরে কি জয়ের সরণিতে ফিরতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? নন্দকুমারদের কোচ অবশ্য দীর্ঘ অন্ধকার শেষে আলোর রেখা দেখছেন। এএফসি ভুলে এখন সব তাঁর নজর ২৪৮তম ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান ম্যাচে।
শনিবার যুবভারতীতে মুখোমুখি হবে দুই দল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দকুমারকে পাশে নিয়ে অস্কার বললেন, "আমাদের বাস্তবের মাটিতে ফিরতে হবে। যদি আমরা এখন থেকে পয়েন্ট তুলতে না পারি, তাহলে প্রথম ছয়ে থাকার স্বপ্নপূরণ হবে না। অবশ্যই লড়াইটা কঠিন হতে চলেছে। কিন্তু আমাদের মানসিকতায় অনেক বদল এসেছে।"
যদিও মহামেডানও খুব একটা ভালো ছন্দে নেই। তবু সাবধানী অস্কার। তাঁর বক্তব্য, "মহামেডানের কয়েকজন ভালো ফুটবলার আছে। কাসিমোভ, ফ্রাঙ্কা, ছোটের মতো প্লেয়ার আছে। মাঝমাঠটা ভালো ব্যবহার করে, উইং দিয়ে আক্রমণ শানায়। ফলে আমরা জানি ওদের শক্তি কী? তবে ওদের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। সেই সুযোগটা কাল মাঠে কাজে লাগাব। আর মহামেডান যেমন ভালো ছন্দে নেই, তেমনই আমরাও সেরা ফুটবলটা খেলতে পারিনি। ফলে দুটো দলই কাল জেতার জন্য নামবে। লিগ টেবিলে উপরে ওঠার লড়াই যেন থামবে। তেমনই ডার্বিজয়ের সম্মানও পেতে চাই।"
ইস্টবেঙ্গলে এসেই প্রথমে ডার্বিতে হার। তার পর ওড়িশা ম্যাচেও হারতে হয়েছে। এএফসি-র সাফল্য কী সাহায্য করবে ইস্টবেঙ্গলকে? অস্কার বলছেন, "এটা ঠিক যে এএফসি আমাদের জন্য ভালোই গিয়েছে। তবে ওই অধ্যায় আপাতত সমাপ্ত। সেটা ফের মার্চ-এপ্রিলে ভাবা যাবে। এখন আইএসএলের দিকেই নজর দিতে চাই। আমার মতে অন্ধকার রাস্তার শেষে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি। আর সেটা আইএসএলের রাস্তা। আমাদের এখানেও ভালো ফলাফল করতে হবে।"
জয়ের জন্য মরিয়া ইস্টবেঙ্গল কোচ সমর্থকদের বার্তা দিয়ে জানালেন, "কালকের ম্যাচের জন্য খুবই উত্তেজিত। সমর্থকদের বলব, মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করুন। কথা দিচ্ছি, কাল আমরা তিন পয়েন্ট তুলব। এর আগে মোহনবাগানের সঙ্গে ডার্বিতে দেখেছি সমর্থকরা ৮৮-৯০ মিনিটে মাঠ ছাড়ছেন। সেটা খুবই কষ্টকর। কাল আশা করছি, সেরা ফলটাই পাব। মাঠে সমর্থকদের সঙ্গে সেলিব্রেট করব। ডার্বি দিয়েই আমাদের নতুন যুগের সূচনা হবে।"