স্টাফ রিপোর্টার : অনুশীলন তখন শুরু হয়েছে, দিমিত্রি পেত্রাতোস বসে রয়েছেন সাইডলাইনে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট সবে ফিজিওর কাছে রিহ্যাব শুরু করেছেন। অন্যদিকে বাকি ফুটবলাররা অনুশীলন করছেন পুরোদমে। কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে জোসে মোলিনা বলে এসেছেন, চোটের কবলে থাকা গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাওয়া যাবে না পরের ম্যাচে। তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার না থাকার কথায় হয়তো সমর্থকরা চাপে পড়তে পারেন, কিন্তু মোহনবাগান কোচ এতটুকু চাপ নিতে চান না।
কিন্তু সত্যি কি তাই? আইএসএলে মোহনবাগানের আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে স্টুয়ার্টকে। তিনি চোটের কবলে পড়লে তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে দায়িত্ব সামলিয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। এতদিন মোলিনা বলছিলেন, গ্রেগের পরিবর্তে তাঁর হাতে দিমিত্রি রয়েছেন। এখন দুই বিদেশি চোট পাওয়ায় তাঁকে ভরসা করতে হবে ভারতীয় ফুটবলারদের উপরই। সেক্ষেত্রে সাহাল আব্দুল সামাদের উপর ভরসা দিতে হতে পারে মোলিনাকে। আর আশিক কুরুনিয়ানও চোট থেকে উঠেই ফের চোট পেয়ে অনুশীলনই করতে পারছেন না। দলের চোট-আঘাত নিয়ে বলতে গিয়ে মোলিনা রাখ-ঢাক না রেখে বলছেন, “এটা বাস্তব যে একাধিক ফুটবলার চোটের কবলে। কিন্তু এটাও ঠিক আমাদের স্কোয়াডে অনেক ভালো ফুটবলার রয়েছে। আশা করি সবাই মিলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। গ্রেগ, দিমি, আশিক, ধীরাজ, গ্লেনকে এই ম্যাচে পাব না।” বাঁ চোখের পাশে চোট পেলেও ফেস মাস্ক পড়েই পাঞ্জাব এফসি ম্যাচে নামবেন অধিনায়ক শুভাশিস বসু। এদিনও ফেস মাস্ক পড়েই পুরোদমে অনুশীলন করলেন তিনি। মোহনবাগান রক্ষণের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন পাঞ্জাব এফসির শক্তিশালী আক্রমণভাগ। মোহনবাগান রক্ষণের অন্যতম সেরা অস্ত্র আলবার্তো রডরিগেজ অবশ্য ভরসা দিচ্ছেন সমর্থকদের। বলছেন, “পাঞ্জাব ভালো দল। ওদের লুকাও ভালো ফুটবল উপহার দিচ্ছে। আমরা ওকে থামাবার সব চেষ্টাই করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই কাজটা করতে পারব।”
এবারের আইএসএলে প্রথম হার হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচে। সেই হারের পর আট ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন কামিংসরা। এফসি গোয়া ম্যাচে হারের পর কিছুটা ছন্দ পতন হলেও এখান থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই বলে দাবি করছেন আলবার্তো। আরও বলছিলেন তাদের লক্ষ্য শুধু জয় নয়, পাশাপাশি ক্লিনশিট রাখাও। একই সঙ্গে যদি গোল করতে পারেন তাহলে সেটাও তাঁর কাছে বাড়তি পাওনা বলে জানান। তিনি আরও যোগ করেন, “ক্লিনশিট রাখার পাশাপাশি আমি গোল করেও দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করি সবসময়। ” ক্রিসমাসে পরিবার ছেড়ে থাকতে হলেও মোহনবাগানই এখন তাঁর পরিবার বলে মনে করেন আলবার্তো। আর পাঞ্জাব ম্যাচ জিতে সেই পরিবারকেই বড়দিনের উপহার দিতে চান মোহনবাগানের এই ডিফেন্ডার।