মোহনবাগান: ১ (বুমোস)
জামশেদপুর: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে (ISL) জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের। বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে দিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারের পর এই নিয়ে পরপর তিন ম্যাচে জিতলেন ফেরান্দোর ছেলেরা। পেনাল্টি স্পট থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন হুগো বুমোস।
যুবভারতীতে এদিন মোহনবাগান (Mohun Bagan) নেমেছিল ফেভারিট হিসাবেই। কারণটা খুব সহজ। একটা দল ছিল পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে। আরেকটা দল একেবারে তলানিতে। জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC) সবুজ মেরুনের বিরুদ্ধে নামার আগে একাবারেই ফর্মে ছিল না। লিগ টেবিলে তারা ছিল ১০ নম্বরে। যদিও ম্যাচের আগে ফেরান্দো জামশেদপুরকে যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছিলেন। আর সেটা যে কেন দেখিয়েছিলেন, তা বোঝা গেল মাঠের লড়াইয়ে। মোহনবাগানকে এদিন এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ল জামশেদপুর।
[আরও পড়ুন: ২০০২-এর পর থেকে বারবার ইউরোপীয় শক্তির কাছেই হার ব্রাজিলের, এবার কী হবে?]
ম্যাচের শুরু থেকেই জামশেদপুর নেমেছিল মোহনবাগানকে আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে। রক্ষণ আঁটসাঁট রেখে প্রতিআক্রমণ। এই ছিল জামশেদপুরের পরিকল্পনা। তাতে কাজও হচ্ছিল। মোহনবাগানকে প্রথমার্ধে বেঁধে ফেলেছিল জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধেও একটা বড় সময় গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, লিগ টেবিলে ১০ নম্বরে থাকা জামশেদপুর মোহনবাগানকে আটকে দেবে। তখন জামশেদপুরের ডিফেন্ডারের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় সবুজ-মেরুন শিবির। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল ৯০ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন হুগো বুমোস (Hugo Boumos)। এর পর ইনজুরি টাইমে সুযোগ পেয়েছিল জামশেদপুরও। কিন্তু সেগুলি তারা কাজে লাগাতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে বিরাট ধাক্কা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও নেই রোহিত!]
এদিনের জয়ের ফলে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে চলে এল এটিকে মোহনবাগান। যদিও এদিনের জয়ের পরও দলের আক্রমণভাগ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ ভুরি ভুরি সুযোগ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও রয় কৃষ্ণর মতো স্ট্রাইকারের অভাবে গোল আসছে না। মরশুমের দ্বিতীয় ভাগের আগে এই জায়গাটা নজরে রাখতে চাইবেন ফেরান্দো।