দুলাল দে: গত মরশুমের আইএসএল ফাইনালে যখন হায়দরাবাদ আর কেরালা ব্লাস্টার্স খেলছে, তখনও দুই দলের কোচ থেকে ফুটবলারদের মুখে মুখে একটাই কথা ঘুরত, ফাইনালে না খেললেও আইএসএলের সেরা দল, মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এই মরশুমে ফলাফল যাই হোক, মরশুমের শুরু থেকে কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando) যে যে ফুটবলার চেয়েছেন, মোহনবাগান কর্তারা তাঁদেরকেই তুলে দিয়েছেন ফেরান্দোর হাতে। তারপরেও প্রথম ছ’য়ে থাকার জন্য মোহনবাগানকে এখন তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অন্য দলগুলির দিকে। আইএসএলের অন্যতম সেরা দল হয়েও ফেরান্দোর দল প্রথম ছয়ে থাকবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে, কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters) এবং ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পর পর দুটো ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে না পারলে প্রথম ছয়ে ঢুকতে পারবে না ফেরান্দোর দল। সেক্ষেত্রে মোহনবাগান কোচ চাইছেন, ডার্বির আগেই শনিবার যুবভারতীতে কেরালাকে হারিয়ে প্রথম ছয়ে খেলার সুযোগ নিশ্চিত করতে। কিন্তু যে দলটা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দৌড়বে, সেই দলটাই শেষ ল্যাপে এসে প্রথম ছয়ে থাকতে পারবে কি না তা নিয়ে কেন এরকম সন্দেহ তৈরি হবে?
[আরও পড়ুন: অজি শিবিরে বড় ধাক্কা, শামির বলে মাথায় চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন ওয়ার্নার]
দলটা শেষ ল্যাপে এসে কেন এরকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে, কেরালা ম্যাচের আগে তার অবশ্য একটা ব্যাখ্যা হাজির করলেন সবুজ-মেরুন কোচ। যা অনেকটা অজুহাতের মতোই শোনাচ্ছে। ফেরান্দো বললেন, “যে যে পরিকল্পনা করে এই মরশুমটা শুরু করেছিলাম, পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনাগুলি কিন্তু আর কাজ করেনি। ফলে সব কিছু ওলটপালট হতে শুরু করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল চোট। সঠিক সময়ে সঠিক ফুটবলারদের পাইনি। এই ইস্যুটাও ভয়ঙ্কর ভাবে চেপে বসে। এরমধ্যে আবার অনেক সময় এরকমও হয়েছে, ম্যাচ প্রস্তুতির জন্য ঠিক ভাবে প্র্যাকটিস করারও সময় পাইনি আমরা। এই সবগুলি যখন একের পর এক ঘটতে থাকে, তখন তার প্রভাব দলের উপরে পড়ে। তবে এটুকু স্বীকার করছি, খুবই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলছি।”
শেষ ৬টা ম্যাচের মধ্যে তিনটে ম্যাচে হেরেছে মোহনবাগান। ড্র করেছে দুটো ম্যাচে। আর জিতেছে মাত্র একটা ম্যাচে। ফলে লিগ টেবিলে মোহনবাগানের অবস্থান এখন ষষ্ঠ স্থানে। কারণ, এদিন ওড়িশা ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে নর্থ-ইস্টকে (North East United)। মোহনবাগান কোচ বললেন, “দুটো ম্যাচে আমাদের খুব বাজে ভাবে পয়েন্ট নষ্ট হয়েছে। নর্থ-ইস্ট আর চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ছয় পয়েন্ট নষ্টটা আমাদের ক্ষতি করে দিয়েছে। তবে এখনও সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। কেরালাকে হারিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থান পাওয়াটাই এখন আমাদের লক্ষ্য।”
[আরও পড়ুন: আপস করেছে নির্বাচন কমিশনই! শিব সেনার প্রতীক শিণ্ডেরা পেতেই আক্রমণে উদ্ধব শিবির]
চোট আছে হুগো বুমোসের (Hugo Boumos)। কার্ল ম্যাকহিউগের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। দু’জনের ক্ষেত্রেই কোচ জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে চূড়ান্ত প্রথম একাদশ ঠিক করবেন। তবে কার্ড সমস্যা মিটিয়ে কেরালার বিরুদ্ধে দলে ফিরছেন শুভাশিস বসু এবং আশিক কুরুনিয়ন। এটাই যা মোহনবাগানের জন্য ভাল খবর।