সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বের যে যে দেশগুলি থেকে ইসলামিক শাসন শেষে হয়ে গিয়েছে, সেই দেশগুলির মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে সুরক্ষিত ইসলাম (Islam)। মুসলিম রীতিনীতির পালনের ক্ষেত্রে ভারতই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)।
যে আরএসএসের বিরুদ্ধে লাগাতার বিভাজন ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। হিন্দুত্বকে আদর্শ করে ইসলামের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগেও বারবার বিদ্ধ হয়েছে সংঘ। অথচ সেই সংঘেরই প্রধান বলছেন, “ভারতে আর ভিনধর্মীরা নেই। যারা ছিল তারা বাইরে থেকে এসেছিল, তারা বিদায় নিয়েছে। এখন যারা আছে, তারা সকলেই আমাদের আপন। তাদের শুধরে নিতে হবে।” ভাগবতের কথায়, “কিছু মানুষ এখনও ওই বহিরাগতদের মতামতে প্রভাবিত। তাদের সেই মতবাদ থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব আমাদের।”
[আরও পড়ুন: ‘অঙ্ক কষে দেখুন, ২০২৪-এর ফলাফল সবাইকে চমকে দেবে’, আমেরিকায় দাবি রাহুলের]
ভাগবতের দাবি, একটা সময় গোটা বিশ্বে ইসলাম ছড়িয়েছিল। ইসলামিক আগ্রাসনের ফলে স্পেন-মঙ্গোলিয়ার মতো দেশেও এই ধর্ম ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরে সেই দেশগুলির আদি বাসিন্দারা সজাগ হয়ে, সেটাকে প্রতিরোধ করেছে। এখন কার্যক্ষেত্রে ওই দেশগুলি থেকে ইসলাম বিলুপ্ত। ওই দেশগুলি থেকে বিদেশিরা চলে যাওয়ার পর ইসলাম আর সুরক্ষিত নয়। ইসলাম শুধু ভারতেই সুরক্ষিত। মোহন ভাগবত বলছেন, “আজ সবার উচিত সম্মিলিতভাবে দেশের অখণ্ডতার জন্য সরব হয়। আজ দেশের সীমান্তে শক্তি না দেখিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে লড়ছি। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।”
[আরও পড়ুন: সেনার অনুষ্ঠানের মঞ্চে হোঁচট, বক্তৃতা সেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বাইডেন, ভাইরাল ভিডিও]
বস্তুত আরএসএসের (RSS) বিশ্বাস ভারতে যারা বসবাস করেন, তাঁরা সকলেই অস্তিত্বগতভাবে হিন্দু। পরবর্তীকালে বিদেশি শাসকেরা এসে বহু হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেছেন। বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান ঘুরিয়ে সেকথাই বলতে চাইলেন। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, যারা বিদেশিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপথে চালিত, তাদের ঘর ওয়াপসির দায়িত্ব সকলকেই নিতে হবে।