সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারুদের গন্ধে ভারী মধ্যপ্রাচ্যের বাতাস। কখন কী হয়! আতঙ্ক সবার মনে। উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আগুন যাতে আরব দুনিয়ায় ছড়িয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা করছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে গাজা ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করেছে ইজরেয়েলি সেনাবাহিনী। বহু পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।
ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’ ও ‘জেরুজালেম পোস্ট’ সূত্রে খবর, শুক্রবার গাজা ভূখণ্ডে অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। সাঁজোয়া গাড়ি ও বিশেষ বাহিনী গুঁড়িয়ে দিয়েছে হামাসের একটি ঘাঁটি। অভিযান চলাকালীন বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করা যায়নি। এখনও হামাসের হাতে ১৫০ জন পণবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননে হেজবোল্লার ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল। আইডিএফ জানিয়েছে, লেবানন সীমান্তে হাইফা শহরের কাছে ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা হয়। তারই জবাবে গোলাবর্ষণ।
[আরও পড়ুন: আসছে ইজরায়েলের ‘শক্তিশেল’! প্রাণভয়ে পালাচ্ছে গাজার হাজার হাজার মানুষ]
গতকালই অবরুদ্ধ গাজার সাধারণ নাগরিক ও সেখানে অবস্থিত রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণে চলে যেতে বলেছে ইজরায়েল। আর তার পর থেকেই হাজারে হাজারে সাধারণ নাগরিককে দেখা গিয়েছে দ্রুত বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে। পালটা বিবৃতি জারি করে বাসিন্দাদের গাজা ছাড়তে বারণ করেছে হামাস। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল শিগগিরি গাজা ভূখণ্ডে আরও ভয়ংকর আক্রমণ চালাতে পারে সেই সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে। ইজরায়েলের সেনা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, গাজার সাধারণ নাগরিকরা যেন দ্রুত দক্ষিণ দিকে চলে যান নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। বলা হয়েছে, হামাস (Hamas) জঙ্গিদের এলাকা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে তাঁদের। এর ফলে আগামিদিনে ইজরায়েল সেনার আক্রমণে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির বিষয়টি এড়ানো যাবে।