ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গাজায় আগুন ঝরাচ্ছে ইজরায়েল। কিন্তু অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, মাটির নিচে থাকা হামাসের বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। শক্ত মাটি ভেদ করার আগেই ভেঙে যাচ্ছে মিসাইলের খোল। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নাকি বাংলার দ্বারস্থ তেল আভিভ। ইছাপুরের মেটাল ও স্টিল ফ্যাক্টরিকে মিসাইলের অংশ তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফরওয়ার্ড ব্লক জানিয়েছে, ইছাপুরের মেটাল ও স্টিল ফ্যাক্টরি এই বরাত পেয়ে থাকলে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। যদি তা বাতিল না করা হয়, তাহলে ফ্যাক্টরির সামনে ফরওয়ার্ড ব্লক ধরনা বসবে। বিক্ষোভ দেখাবে। প্রায় শতাব্দি প্রাচীন দলটির দাবি, 'ভারতবর্ষ ও তার জনগণ প্যালেস্টাইনের মানুষের পাশে বরাবর ছিল আছে ও থাকবে। এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধে ভারতকে অবিলম্বে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।'
দিল্লি সূত্রে খবর মিলেছিল, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইছাপুরের মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরি (এমএসএফ) ঘুরে গিয়েছেন জোহার ল্যাচম্যান, ইয়োরাম মুসাফি-সহ চার ইজরায়েলি সেনা অফিসার। সঙ্গে সে দেশের নাগরিক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জীতেন্দ্র পাল। এর পরই জল্পনা ছড়িয়েছে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ইছাপুরের কারখানাকে মিসাইলের অংশ তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই ফরওয়ার্ড ব্লকের এই বার্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল হামাস। রক্তাক্ত হয়েছিল ইহুদি দেশটি। যার বদলা দিতে গাজায় সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই থেকে জারি রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এখনও রক্ত ঝরেছে গাজায়। এদিনও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আঘাত হানে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন।