সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে উদ্বেগ বড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ (Omicron)। তাই এবার দেশের মানুষকে ওই আণুবীক্ষণিক জীবটির হাত থেকে রক্ষা করতে ষাটোর্ধ্বদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: সাড়ে ৫ হাজার কোটির বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ! আদালতের নির্দেশে অস্বস্তিতে দুবাইয়ের শেখ]
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। করোনা ভাইরাসের এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে। ফলে এবার ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়াক কথা ঘোষণা করছে ইজরায়েলের সরকার। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এদিকে, ওমিক্রন থেকে বাঁচতে বুস্টার ডোড দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিৎজান হরোউইৎস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩৪০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই আমেরিকা , জার্মানি, ইটালি, তুরস্ক, কানাডার মতো দেশগুলির নাগরিকদের ইজরায়েল প্রবেশে নিষিদ্ধ জারি করেছে বেনেট সরকার। অফিস কাছারিতেও কর্মীদের উপস্থিতি কমিয়ে পঞ্চাশ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ইজরায়েলে ওমিক্রন আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরই তড়িঘড়ি ষাটোর্ধ্বদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির একাধিক শারীরিক অসুস্থতা ছিল। করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি দু’সপ্তাহ আগে ভরতি হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই বিশ্বে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর শিরোনামে উঠে আসে। খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ডই প্রথম ওমিক্রনে মৃত্যুর সাক্ষী হয়। সে দেশেও বর্তমানে রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে এই স্ট্রেন। ফলে বড়দিনের উৎসবেও বিস্তর কাটছাঁট করা হয়েছে। যে কোনওরকম জমায়েতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উৎসবের মরশুমে করোনার এহেন রূপ দেখে রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন বিশেষজ্ঞরা।