সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে মৃত্যু হল হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার। শনিবার ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে জানানো হয়, বেইরুটে হেজবোল্লার সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে। সেখানেই নাসরাল্লার মৃত্যু। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই নাসরাল্লার কন্যার মৃত্যুর খবর মিলেছিল। তার পর ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ ইজরায়েলি ফৌজ জানায়, কুখ্যাত জঙ্গি নাসরাল্লা আর বিশ্বকে ভয় দেখাতে পারবে না। অর্থাৎ হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার থেকে লেবাননে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে নিকেশ করাই ইজরায়েলি সেনার উদ্দেশ্য। সেই জন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে চলছে হামলা। লাগাতার আক্রমণে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদর দপ্তর। এছাড়াও লেবাননের রাজধানী বেইরুটের একাধিক বাড়ি লক্ষ্য করে আছড়ে পড়েছে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বেইরুটের দক্ষিণ প্রান্ত। হাজারখানেক মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
সেই হামলার মধ্যেই শনিবার সকালে খবর মেলে, মৃত্যু হয়েছে নাসরাল্লার কন্যা জাইনাবের। সদর দপ্তরের ধ্বংসাবশেষ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে হেজবোল্লার তরফে এই নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই খবর ছড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইজরায়েলি সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে। হেজবোল্লা প্রধানকে বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত জঙ্গির তকমাও দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে নাসরাল্লাকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানান ইজরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হেজবোল্লার প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন নাসরাল্লা। তাঁর পরিবারও যুক্ত ছিল এই শিয়াপন্থী জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে নাসরাল্লার ছেলেকে নিকেশ করে ইজরায়েল। হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।