সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারই শুরু হয়েছিল যুদ্ধবিরতি। কিন্তু একদিনও যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবারই ফের লেবাননে হেজবোল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল। একটি দুটি নয়, মোট ছটি বিস্ফোরণের কথা জানা গিয়েছে। যদিও ইজরায়েলি সেনার দাবি, লেবাননই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মাঝারি পাল্লার রকেট মজুত করছিল দক্ষিণ লেবাননে। সেই 'বিপদে'র মোকাবিলা করতেই তেল আভিভের সেনা জবাব দিয়েছে।
হামলা পালটা হামলায় কয়েক হাজার মানুষের রক্ত ঝরার পর অবশেষে আশার আলো দেখা গিয়েছিল বুধবার। তারও আগে মঙ্গলবার রাতে যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। নীতিগত ভাবে চুক্তি অনুমোদন করেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জানা যায়, ২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৪টে থেকে লাগু হচ্ছে সংঘর্ষ বিরতি। আপাতত ২ মাসের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে কোনও হামলা চালাবে না হেজবোল্লা ও ইজরায়েল। পরিস্থিতি অনুযায়ী বাড়ানো হবে চুক্তির মেয়াদ। কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরু হতে না হতেই ফের বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল লেবানন। তবে ইজরায়েলের হামলা যে অঞ্চলে হয়েছে, সেখানে সাধারণ নাগরিকরা কেউ ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের হামলায় শুধুমাত্র লেবাননে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০০ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছে অন্তত ১৬ হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এই যুদ্ধবিরতির মূল কারিগর আমেরিকা ও ফ্রান্স। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে বার্তা দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। কিন্তু সেই সময়ই নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলেও এর মেয়াদ কতদিন থাকবে তা নির্ভর করছে লেবাননের উপর। যদি কোনওভাবে এর শর্ত লঙ্ঘন করা হয় সেক্ষেত্রে কড়া জবাব দিতে দ্বিধা করব না আমরা।'' পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, হেজবোল্লা বা অন্য কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইজরায়েলের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার থাকবে ইজরায়েলের। একদিন যেতেই তেমনই এক অভিযোগ এনে ফের লেবাননে হেজবোলা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল।