সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়ছে লেবানন নিয়ে। আগুন ঝরাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। গাজাযুদ্ধে হামাসের সমর্থনে রয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। তাই তাদের টার্গেট করেই চলছে আক্রমণ। মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ছে রকেট। আর সেই রকেট হামলার এক ভয়ংকর ছবি দেখা গেল ভাইরাল এক ভিডিওয়। এক সাংবাদিক লাইভ সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ই দেখা গেল কীভাবে আছড়ে পড়ছে ক্ষেপণাস্ত্র।
লাইভ টিভি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন মিরা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ ফাদি বউদায়া। চলছিল লাইভ সম্প্রচার। আচমকাই মিসাইল আছড়ে পড়ে গুঁড়িয়ে যায় দেওয়াল। চেয়ার থেকে পড়ে যান ফাদি। তবে তাঁর প্রাণহানি হয়নি। যদিও গুরুতর চোট লেগেছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ঘটনার হাড়হিম ভিডিও।
কিন্তু কেন ওই সাংবাদিকের বাড়িতে আছড়ে পড়ল মিসাইল? এর পিছনে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? নাকি সবটাই সমাপতন? জানা যাচ্ছে, ওই সাংবাদিক হেজবোল্লাপন্থী। তিনি ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ। তাঁর সংবাদ পরিবেশনে সব সময়ই থাকে হেজবোল্লার প্রতি সমর্থন। আর তাই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে বেছে বেছে।
গত জুলাই মাস থেকে সংঘাত তীব্র হয়েছে ইজরায়েল ও হেজবোল্লার মধ্যে। ইজরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির এক ফুটবল স্টেডিয়ামে আছড়ে পড়ে জঙ্গি সংগঠনটির রকেট। হামলায় মৃত্যু হয় ১২ জনের। এই ঘটনাতেই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে লেবাননে হামলার ধার বাড়ায় ইজরায়েল। লেবাননের প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারও ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন। আহত ৪০০-র কাছাকাছি। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যাও শতাধিক। সমর বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েল ও হেজবোল্লার মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তাতে হামাসের ষড়যন্ত্রই কার্যত সফল হচ্ছে। ক্রমেই গাজা থেকে এই সংঘাত বড় আকার ধারণ করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।