ইতিহাসের পাতায় পাকাপাকি জায়গা করতে তৈরি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। এই প্রথম সম্পূর্ণ এ দেশে তৈরি ‘স্পেস শাটল’ উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। বর্ষা পড়লেই শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে পাড়ি দেবে একেবারে স্বদেশি ‘রি-ইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল- টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর’, সংক্ষেপে আরএলভি- টিডি। একটি সূত্রের দাবি, আরএলভি-র নাম রাখা হতে পারে ‘কালামযান’। বোঝাই যাচ্ছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও মহাকাশ বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের স্মৃতিতে ওই নাম রাখার ভাবনা ইসরোর বৈজ্ঞানিকদের।
একটি এসইউভি গাড়ির আকৃতি ও ওজনের সমান নয়া ‘স্পেস শাটলে’ ‘উইং’ বা ডানা লাগানোর কাজ শেষ। চলতি মাসেই ওই যান শ্রীহরিকোটা থেকে উড়ে যাবে মহাকাশে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নয়া মহাকাশযান পুনর্ব্যবহারযোগ্য| সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরির ফলে খরচ এক ধাক্কায় ১০ গুণ কমে গিয়েছে। ভবিষ্যতে এই স্পেস শাটল ব্যবহার করে মহাকাশে কোনও উপগ্রহ পাঠানোর খরচ প্রতি কিলোগ্রামে মাত্র ২০০০ ডলার পড়তে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এ দেশে বর্ষা আসার আগেই অন্ধ্রপ্রদেশে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করা হবে ‘রি-ইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল- টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর’৷ এই প্রথম ইসরো এমন একটি মহাকাশযান লঞ্চ করতে চলেছে যার ‘ডেল্টা উইংস’ রয়েছে৷ লঞ্চ করার পর বঙ্গোপসাগরের ভার্চুয়াল রানওয়ের উপর এটি ঘুরপাক দেবে৷ তবে এই মহাকাশযানের ‘ফাইনাল ভার্সন’ বানাতে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে৷
The post ইসরোর শ্রদ্ধার্ঘ্য: প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় মহাকাশযানের নাম ‘কালামযান’ appeared first on Sangbad Pratidin.