সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছর জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার পর খুশির হাওয়া টলিপড়ায়। সাধারণত জাতীয় পুরস্কার প্রতিবছরই বাংলার ঘরে একটা না একটা আসেই। কিন্তু এবছর প্রায় চারটি পুরস্কার এসেছে বাংলা ছবির ভাঁড়ারে। সেরা বাংলা ছবি নির্বাচিত হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’। পরিচালক তো বটেই। ছবির অভিনেতারাও এনিয়ে যারপরনাই গর্বিত। এঁদেরই মধ্যে একজন রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর তো আবার দ্বিগুণ আনন্দ। কারণ তাঁর অভিনীত দু’টি ছবি এবছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। একটি অবশ্যই ‘এক যে ছিল রাজা’। আর অন্যটি ‘কেদারা’।
রুদ্রনীল বললেন, ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিটি খুব কষ্ট করে বানানো হয়েছিল। তার উপর ছবিটি ছিল গবেষণা ভিত্তিক। সেদিকেও অনেকটা সময় দিতে হয়েছিল। ছবিতে প্রতিটি চরিত্র ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর চরিত্রটি তো অবশ্যই। উত্তম কুমার যখন ‘সন্ন্যাসী রাজা’ করেছিলেন, তখন তাঁকে মহিমান্বিত করা হয়েছিল ছবিতে। কিন্তু এক যে ছিল রাজা ছবিতে সেসব ছিল না। এখানে সত্যিটাই হিরো।
[ আরও পড়ুন: জাতীয় মঞ্চে ফের সেরা সৃজিতের ছবি, পুরস্কার পাচ্ছে ‘এক যে ছিল রাজা’ ]
এ তো গেল ‘এক যে ছিল রাজা’-র কথা। এটি ছাড়া ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘কেদারা’ স্পেশ্যাল জ্যুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ইন্দ্রদীপের এটি ছিল প্রথম ছবি। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুশি রুদ্রনীল। তিনি আরও জানান, সাধারণত জাতীয় পুরস্কার এমন ছবিগুলো পায়, যা ‘ক্লাসি’। যে ছবি জনসাধারণের বোধগম্য অনেক সময়ই হয় না। কিন্তু ‘এক যে ছিল রাজা’ ‘ক্লাস’ ও ‘মাস’ দুই ধরনের দর্শকের জন্যই বানানো। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ‘এক যে ছিল রাজা’।
‘এক যে ছিল রাজা’-র জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। উচ্ছ্বসিত তিনি। তবে এর জন্য তিনি পুরো কৃতিত্বই দিয়েছেন টিমকে। তবে এও বলেছেন, বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার যিশু সেনগুপ্ত। তিনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। আর তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুরও প্রশংসা করেছেন পরিচালক। বলেছেন, তিনি ছাড়া ‘এক যে ছিল রাজা’-এ যিশুর এমন লুক আসতই না। বাস্তবকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সোমনাথ কুণ্ডুর অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেন সৃজিত। তিনি বলেন, “জয়টা আমাদের সবার, আশা করি ভবিষ্যতে আরও এমন সিনেমা বানাব।”
[ আরও পড়ুন: যিশুকে নিয়ে প্রতীমের নতুন ছবি ‘লাভ আজ কাল পরশু’ ]
৬৬তম জাতীয় পুরস্কারে ‘এক যে ছিল রাজা’ ছাড়াও পুরস্কৃত হয়েছে ‘তারিখ’। এই ছবিতে সেরা সংলাপ লেখার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন চূর্ণী গঙ্গেপাধ্যায়। প্রথম ডেবিউ ডিরেক্টর হিসেবে পুরস্কার জিতে নিলেন বাংলার পরিচালক সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। ফেলুদাকে নিয়ে তথ্যচিত্র ‘ফিফটি ইয়ার্স অফ রে’স ডিটেকটিভ’-এর জন্য পুরস্কার পেলেন তিনি। এছাড়া সেরা সংগীতশিল্পীর সম্মানও এসেছে বাংলার ঘরে। পেয়েছেন অরিজিৎ সিং। ‘পদ্মাবত’ ছবির ‘বিনতে দিন’ গানের জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
The post বাংলা ছবির জন্য ভাল ইঙ্গিত, জাতীয় পুরস্কারে উচ্ছ্বসিত টিম ‘এক যে ছিল রাজা’ appeared first on Sangbad Pratidin.