সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটেও (Gujarat) জীবনকৃষ্ণ! তবে এক্ষেত্রে পুকুরে নয়, প্রমাণ লোপাটে উদ্দেশ্যে সবরমতি নদীতে জোড়া মোবাইল ফেলে দেন এক আয়কর কর্তা। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আয়কর দপ্তরেরে ওই আধিকারিককে। তাঁর বিরুদ্ধে আর এক আয়কর আধিকারিকের দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তদন্তকারীদের তৎপরতায় উদ্দেশ্য সফল হয়নি অভিযুক্তের।
অভিযুক্ত আয়কর আধিকারিকের নাম বিবেক জোহরি। তিনি আমদাবাদের আয়কর দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ছিলেন। সম্প্রতি আয়কর দপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার সন্তোষ কারনানির বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আভিযোগ আনেন রূপেশ ব্রহ্মভট্ট নামে এক প্রোমোটার। ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে কারনানিকে গ্রেপ্তার করতে আশ্রম রোডের আয়কর দপ্তরে যায় দুর্নীতি দমন শাখা। তখন জোহরি কৌশলে তাঁকে পালানোর সুযোগ করে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘১৫ দিনের মধ্যে খতম করে দেব’! পুলিশকর্তার হুমকির পরেই খুন আতিক-আশরফ, উঠছে প্রশ্ন]
জোহরির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, পালানোর আগে কারনানি তাঁর মোবাইল দু’টি জোহরিকে দিয়ে গিয়েছিলেন। প্রমাণ লোপাটে সেই জোড়া মোবাইল সবরমতি নদীতে ফেলে দেন তিনি। ওই মোবাইলে অনেক নথি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পরেই সহকর্মীকে পালানোয় সহযোগিতা করায় এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ জোহরিকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। যদিও মূল অভিযুক্ত কারনানি এখনও পলাতক।
[আরও পড়ুন: ৩০ বিরোধী বিধায়ক-সহ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অজিত পওয়ার? মুখ খুললেন NCP নেতা]
তবে জোহরিকে জেরা করে মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নদীতে ডুবুরি নামিয়ে, এমনকি ‘সোনার’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দু’টি ফোনই উদ্ধার করা হয়েছে। এরাজ্যও প্রমাণ লোপাটে জলে মোবাইল ফেলে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড়। নেপথ্যে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ির পুকুরে নিজের ফোন ফেলে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আড়াই দিনের চেষ্টায় পুকুর সেঁচে, পাঁক ঘেঁটে সেই ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই।