সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে ‘কুবেরের ধন’! তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ১১ কোটি টাকা। কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা এল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও আয়কর দপ্তরের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। নীরব খোদ তৃণমূল বিধায়কও।
গত বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরের বিধায়ক হন জাকির হোসেন। এবার আর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তিনি। তবে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারির শিকার হন জাকির। আর সেই হুঁশিয়ারির পরই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা দেয় বুধবার। ওইদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী জাকির হোসেনের সুতি থানার অরঙ্গবাদের বাড়ি, সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি এবং ধূলিয়ানের বিজলি বিড়ি কারখানা ঘিরে ফেলে। সেই সময় জাকির হোসেন বাড়িতেই ছিলেন।
[আরও পড়ুন: পাঁশকুড়ায় রাত্রিবাস, হানিফ মহম্মদের রান্না করা খাবার খেয়ে আপ্লুত ‘দিদির দূত’ কুণাল]
ওই বাড়িতেই থাকেন জাকির হোসেনের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা। বাড়িতে ঢুকে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়কের তাঁর বাড়ি, অফিস এবং গুদামে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। তল্লাশির সময় বিধায়কের অফিস থেকে ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি ২ কোটি টাকা কারখানা এবং গুদাম থেকে উদ্ধার করেন আধিকারিকরা।
জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিড়ি, তেল এবং অন্য একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সেখানেও হানা দেন আয়কর দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। জাকির হোসেনের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামশেরগঞ্জের দুই বিড়ি কারখানা মালিকের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক ওলিউল ইসলাম ও ধূলিয়ানের বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক লায়েক আলি বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেন বলেই অভিযোগ।