সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন ‘ইন্দো-তিবেতান বর্ডার পুলিশ’ বা ITBP। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চিনা সৈনিকদের সঙ্গে সমানে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে শেষমেশ রণে ভঙ্গ দেয় চিনের হানাদার বাহিনী।
[আরও পড়ুন: করোনামুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, টুইট করে নিজেই দিলেন সুখবর]
শুক্রবার প্রথম গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খোলে ITBP। এক বিবৃতিতে বাহিনীটি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় জমিতে চিনা হানাদারদের প্রবেশ করতে দেয়নি তাদের জওয়ানরা। গালওয়ান উপত্যকায় পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে একনাগাড়ে প্রায় ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছে জওয়ানদের। পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার জেরে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীতির কাছে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছিল সুশিক্ষিত লালফৌজের সৈনিকরা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ফৌজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষস্থল থেকে আর্মির আহত জওয়ানদেরও উদ্ধার করেন ITBP”র সদস্যরা। এহেন সাহসিকতা ও চিনা ফৌজের হামলা রুখে দেওয়ার জন্য ২৯৪ ITBP জওয়ানকে সম্মানিত করা হয়েছে।
প্রায় ৯০ হাজার জওয়ান নিয়ে গঠিত ITBP মূলত চিনের সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার লম্বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকে। লাদাখের কারাকোরাম গিরিপথ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের জাচেপ লা পর্যন্ত সীমান্তের নজরদারি করে ভারতের এই আধা সামরিক বাহিনীটি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াই ও পালটা হামলায় রীতিমতো অভিজ্ঞ ITBP জওয়ানরা। তাই পাথর ও রড নিয়ে আচমকা হামলা চালালেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি চিনা ফৌজ।
উল্লেখ্য, ভারত-চিন সংঘর্ষের ইতিহাসে অন্যতম রক্তাক্ত অধ্যায় গালওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley)। গত জুন মাসের ১৫ তারিখ লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে এখানেই শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চোখের জলে দেশ তাঁদের শেষ বিদায় জানায়। কিন্তু ওই সংঘর্ষে কত জন চিনা সৈনিক মারা গিয়েছে, তা এখনও জানায়নি বেজিং।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির নিশানায় চিন, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে নাম না করে কড়া বার্তা]
The post ২০ ঘণ্টার লড়াইয়ে নাস্তানাবুদ চিনারা, প্রকাশ্যে ITBP জওয়ানদের সাহসিকতার কাহিনি appeared first on Sangbad Pratidin.