সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতারাতি বদলে গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) ফেসবুক প্রোফাইল। বৈশাখীর সঙ্গে জুড়ে গেল বন্ধু শোভনের নাম। শুধু নামই নয়, পালটে গিয়েছে তাঁর প্রোফাইল পিকচারও। ছবিতে হাসি হাসি মুখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। ক্যাপশনে লেখা ‘The journey from Me to We begins…’। অর্থাৎ ‘শুধু আমি থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু’।
তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। রাজনীতির আঙিনাতেও বারবার তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কখনও বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছেন তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে তো কখনও আবার শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সমালোচনা কিংবা কটাক্ষকেই গুরুত্ব দেননি শোভন ও বৈশাখী। ভাল-মন্দে সবসময়ই একে অপরের পাশে থেকেছেন। আনন্দ যেমন একসঙ্গে সেলিব্রেট করেছেন, তেমন দুঃসময়েও পরস্পরের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গ রাজনীতির সেই অতিচর্চিত জুটিই এবার নয়া ইনিংস শুরু করতে চলেছেন! তবে কি সম্পর্ককে বন্ধুত্বের ঊর্ধ্বে নতুন কোনও নাম দিতে চলেছেন তাঁরা? বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম বদলে যাওয়ার পর থেকে এমনই সব প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে সরব সিপিএমও]
ফেসবুকে শোভনের নাম যুক্ত করা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বৈশাখী জানিয়েছেন, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই প্রোফাইলের নাম বদল। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আর আলাদা কোনও প্রোফাইল রইল না। যদিও এখনই কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা খোলসা করেননি তিনি।
সম্প্রতি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া শোভনের ফেসবুক লাইভ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছিল শোভন-রত্না গৃহবিবাদ। বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শোভন (Sovan Chatterjee)। নারদ মামলায় গ্রেপ্তারির পর শোভনের সঙ্গে দেখা করতে নিজাম প্যালেস পৌঁছেছিলেন রত্না। কিন্তু রত্নার সেই ভূমিকা যে তিনি ভাল চোখে দেখেননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিলেন তাঁকে। এমনকী রত্নাকে বিয়ে করা তাঁর চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলেও ফেসবুক লাইভে দাবি করেন তিনি। শোভনপত্নীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বৈশাখীও। সেই লাইভের পালটা দেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। রত্নাদেবীর শ্লেষ, “দু’জন কলঙ্কিত নায়ক-নায়িকা। ছাত্র-যুব সমাজকে কী শেখাচ্ছেন? তাঁরা যেন আমায় শিক্ষা দিতে না আসেন।” তারপরই বৈশাখীর প্রোফাইলের নামবদল ও নয়া পথচলা শুরুর বার্তা অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।