shono
Advertisement

ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলাকারীদের ‘দেশভক্ত’আখ্যা ইভাঙ্কার, বিতর্কের জেরে মুছলেন টুইট

ট্রামপন্থীদের তাণ্ডবে উত্তাল হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন ডিসি।
Posted: 03:51 PM Jan 07, 2021Updated: 03:51 PM Jan 07, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার বেনজির হিংসার সাক্ষী থাকল আমেরিকা। ট্রামপন্থীদের তাণ্ডবে উত্তাল হয়ে উঠল ওয়াশিংটন ডিসি। ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায়ের সাক্ষী থাকল ক্যাপিটল বিল্ডিং। কিন্তু এহন কাজের নিন্দা করা দূরের কথা, উলটে দাঙ্গাবাজদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প (Ivanka Trump)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারত-চিন সীমা বিবাদ থেকে দূরে থাকুক আমেরিকা, হুঁশিয়ারি চিনের]

প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বাজিমাত করার পর জো বিডেনকে জয়ের শংসাপত্র দিতে বুধবার শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। আর তা নিয়েই শুরু হয় ট্রাম সমর্থকদের তাণ্ডব। নির্বাচনে পরাজিত হলেও ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমর্থকদের পথে নেমে এই ‘কারচুপি’ ভরা নির্বাচনের প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ট্রাম্পপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে। আরও কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েক জন সমর্থকও। এহেন পরিস্থিতিতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইভাঙ্কা লেখেন, “আমেরিকার দেশভক্তরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কোনও অসম্মান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত মানা হবে না। এখনই হিংসা থামান।” এক্ষেত্রে, দেশভক্ত বলতে যে দাঙ্গাবাজদের বোঝাচ্ছেন ইভাঙ্কা তা স্পষ্ট।

এদিকে, টুইটটির কথা জানাজানি হতেই রীতিমতো নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়ে টুইটটি মুছে ফেলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের কন্যা। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি জা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে চলা তাণ্ডবের জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গ ছেড়েছেন অনেক রিপাবলিকানও। হোয়াইট হাউসে একের পর এক পদত্যাগপত্রও জমা পড়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও কার্যত ট্রাম্পের বিপক্ষে চলে গিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে বয়ে গিয়েছে নিন্দার ঝড়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করে বলেছেন, “আমেরিকা কংগ্রেসের ইতিহাসে এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।” প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক এবং ঘৃণ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, হিংসার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার ও ফেসবুক।

[আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় ইতি! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা বিশেষজ্ঞদের ঢুকতেই দিল না চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement