রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি (BJP)। বহু তাবড় তাবড় নেতা দলও ছেড়েছেন। তাতে কর্মীদের মনোবল ভেঙেছে। নেতাদের ফের চাঙ্গা করতে কলকাতায় এসে ভোকাল টনিক দিলেন জে পি নাড্ডা। মানুষের কাছে পৌঁছতে বিধায়কদের রুটিন তৈরি করে দিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, জে পি নাড্ডার (J P Nadda) তরফে রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে জনসংযোগের সময়। সূত্রের খবর, বিধায়কদের রোজ সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও কোনও সমস্যা থাকলে তা শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে বিধায়কদের। অনেকক্ষেত্রে বহু মানুষের বিভিন্ন সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হয়। সেদিকটা লক্ষ্য রাখার কথাও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ‘সাম্প্রদায়িক’, দুই বিজেপি নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ মমতার]
শুধু তাই নয়, নাড্ডার নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে মাসের ৫ দিন এলাকা পরিদর্শন করতে হবে বিধায়কদের। ছোট ছোট ভাগে এলাকা ভাগ করতে হবে। শুধু ব্যক্তিগত সমস্যা নয় এলাকার সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, জেলা শাসক-পুলিশ সুপার সহযোহিতা না করতে বার অ্যাসোসিয়েশানের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট ভাল ফল করেছিল বিজেপি। যা স্বাভাবিকভাবেই মনোবল বাড়িয়েছিল। চাঙ্গা করেছিল দলের নেতাদের। এরপরই বাংলা দখলের উদ্দেশ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। মোদি, শাহ, নাড্ডা একাধিকবার বাংলায় এসেছেন। অমিত শাহ বারবার বলেছিলেন, ২০০-আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে ১০০-এর ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। ফলে কর্মীদের মনোবল ভেঙেছে। অনেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। পরবর্তীতে উপ নির্বাচনগুলিতেও ভরাডুবি হয়েছে। তাই বাংলায় ফের নতুন করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতেই বিধায়কদের পথে নামার নির্দেশ দিলেন নাড্ডা, এমনটাই ধারণা।