সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জব্বলপুরে এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) নেতা এবং তাঁর ২ সঙ্গীর বিরুদ্ধে জাল রেমডেসিভির (Remdesivir) বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই ভিএইচপি নেতা জব্বলপুরের নর্মদা ডিভিশনের সভাপতি। তাঁরা প্রায় ১ লক্ষ জাল রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন বিক্রি করেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রিয়জনকে বাঁচাতে গিয়ে মানুষ এই জাল ওষুধ কিনে বিপদে পড়েছেন। আর তা থেকে মুনাফা কামিয়েছে এই ভিএইচপি (VHP) নেতা, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের।
জব্বলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোহিত কাশওয়ানি জানিয়েছেন, ৩ অভিযুক্ত হলেন সরবজিত সিং মোখা, দেবেন্দ্র চৌরসিয়া এবং স্বপন জৈন।তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৪, ২৭৫, ৩০৮ এবং ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখেই দপ্তর বন্টন মুখ্যমন্ত্রীর, কে পেলেন কোন দায়িত্ব?]
সরবজিত সিং মোকা জব্বলপুর ভিএইচপির সভাপতি। তাঁর একটি হাসপাতালও রয়েছে জব্বলপুরে। দেবেন্দ্র চৌরসিয়া ওই হাসপাতালের ম্যানেজার এবং স্বপন জৈন ওষুধ কোম্পানির ডিলার। পুলিশ জানিয়েছে কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে তারা। প্রাথমিক তদন্তের পর স্বপন জৈনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও মোখা এবং চৌরসিয়া ফেরার। তাঁদের খোঁজে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মোখা এক একটি জাল রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় রোগীর পরিবারের কাছে বিক্রি করেছেন।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত ‘টুম্পা সোনা’ সুমনা দাস, স্বাদহীন ‘পোচ-মামলেট’]
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর কংগ্রেসের (Congress) তরফে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করা হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি এই জাল রেমডেসিভির শুধু মধ্যপ্রদেশ নয় আরও অনেক রাজ্যে বিক্রি করা হয়েছে। তাই এই মামলার সঠিক তদন্ত করতে হবে।সিবিআইয়ের হাতে দিতে হবে তদন্তভার। এমনকী সিবিআইকে তদন্তভার না দিলে আদালতে যাওয়া হবে বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য বিবেক টঙ্খা।