বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিরামহীন একটানা ১৫০ দিন। গরিব মানুষের মুখে একবেলা খাওয়ার তুলে দেওয়া। চাট্টিখানি কথা নয়। অসম লড়াই করতে করতে আজ এক মহীরূহে পরিণত যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন। প্রতিদিন দুপুরে ৫০০ থেকে ৬০০ লোকের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছে ওই এলাকার সিপিএমের (CPIM) ছাত্র-যুবরা।
হাঁটিহাঁটি পা পা করে চলা শুরু হয়েছিল। লকডাউনের প্রায় প্রথম দিন থেকেই রান্না করা খাবার এলাকার গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছিল। প্রথদিকে একশো বা তার একটু বেশি মানুষকে দেওয়া হচ্ছিল খাবার। অনেককেই ফিরে যেতে হতো খালি হাতে। এখনও ফেরত যেতে হচ্ছে। কিন্তু তুলনায় কম। প্রথমদিকে পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া না মেলায় সংখ্যাটা বাড়ানো যাচ্ছিল না। কমরেডদের মুখে শুনে একদিন হাজির হন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। উদ্যোগ দেখে চোখ কপালে ওঠে কমরেডকুলের শীর্ষনেতাদের। নির্দেশ যায় রাজ্যজুড়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করার। এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রায় ১০০’র কাছাকাছি এই ধরনের কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে পার্টির ছাত্র যুবরা। যাদের দেখে গোটা রাজ্যে কমিউনিটি কিচেন শুরু করার ভাবনা, সেই যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন শনিবার পাঁচ মাস অতিক্রম করল।
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছ নেতার খোঁজ! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেশ দাসকে তৃণমূলে যোগের ‘প্রস্তাব’ টিম পিকের]
এদিনের মেনুতে ছিল ভাত, পাঁচ রকম তরকারি, মাছের ঝোল ও মিষ্টি। সকাল থেকেই লাইন পড়ে ক্যান্টিনের সামনে। ২০ টাকা সহায়ক মূল্যের বিনিময়ে খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করেন অসহায় দিন আনা, দিন খাওয়া প্রায় ছশো মানুষ। তবে সকলের থেকে সহায়ক মূল্য নেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন ঢাকুরিয়া এরিয়া কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত। এছাড়াও কোভিড আক্রান্ত পরিবারের বাড়িতেও বিনামুল্যে একবেলার খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এদিন সকালেই ছাত্র-যুবদের পাশে এসে দাঁড়ান অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী (Ushasie Chakraborty)। নিজের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন সাধারণ মানুষকে। ছিলেন যুবনেতা শতরুপ ঘোষ। খাবার বিতরণের মাঝেই অনেক মানুষ এসে আর্থিক সাহায্য করে গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
The post বিরামহীন টানা ১৫০ দিন, অসম লড়াই করে মহীরূহে পরিণত হল যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন appeared first on Sangbad Pratidin.