রমেন দাস: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার বিজেপির যুব মোর্চার প্রতিবাদ মঞ্চের অনুমতি দিল না পুলিশ। শুক্রবার এই সভামঞ্চে তুমুল উত্তেজনা। অভিযোগ, পুলিশ সেই মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে এবং সেখান থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন যুব মোর্চার সদস্যরা। এনিয়ে X প্ল্যাটফর্মে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা এই মঞ্চেই গিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল এখানে। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তুমুল অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
শুক্রবার যাদবপুরের ৩ নং গেটের উলটোদিকে মঞ্চে করেছিল বিজেপি যুব মোর্চা (BJYM)। কিন্তু সেখানে অবস্থানের অনুমতি মেলেনি পুলিশের। তা উপেক্ষা করে যুব মোর্চার সদস্যরা জমায়েত করলে তাঁদের হঠিয়ে মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, তাদের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুব মোর্চার দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং (Ragging), মাদক-সহ যুব সমাজকে বিপথে চালিত করার মতো বিষয় থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করার দাবি এবং ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে তাঁদের মঞ্চে পুলিশ জুলুমবাজি করেছে। কিন্তু তারপরেও নিজেদের কর্মসূচি থেকে সরেননি তাঁরা। মঞ্চ ভাঙার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেট আটকে অবস্থানে বসেন বিজেপি যুব মোর্চা নেতৃত্ব। আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভ নেই কেন? মামলায় যুক্ত করা হল রাজ্যপালকে]
যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ জানান, তাঁদের ওই মঞ্চে মানুষ যুব মোর্চার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জমায়েত করেছিলেন। কোনও ভিড় ছিল না। কিন্তু পুলিশ জবরদস্তি করে সবাইকে হঠিয়ে তাঁদের কর্মসূচি বানচাল করেছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী X প্ল্যাটফর্মে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে বলে তীব্র কটাক্ষ তাঁর। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেশবিরোধী’ শক্তি কাজ করছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”গতকাল যে অসভ্যতা করেছে বিজেপি, ছেলেটা মারা গিয়েছে, সেসব নিয়ে কোনও সহানুভূতি নেই। উলটে পুলিশকে যা নয়, তাই বলেছে শুভেন্দু। পুলিশ ঠিক করেছে মঞ্চ ভেঙে দিয়ে। শুভেন্দুকেও গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।”