দীপালি সেন ও রমেন দাস: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু (Jadavpur Student Death) কাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তের মাঝপথেই পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির প্রধান তথা ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিলেন তিনি। রবিবার দুপুরে সহ উপাচার্যকে ইমেল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য কাহিনী।
কীভাবে ঘটেছিল বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যু? সেই কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। অভিযোগ, তদন্তের ৩৫ পাতার রিপোর্টে ছত্রে-ছত্রে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল নদিয়ার বগুলার ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন। এই রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে। উল্লেখ্য়, সুবিনয়বাবু বামপন্থী অধ্যাপক সংগঠন জুটার সক্রিয় সদস্যও বটে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্যাম্পাসে মদ্যপান করা আমার অধিকার’, যাদবপুরের ছাত্রীর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়]
এমন পরিস্থিতিতে যাদবপুরের নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য় আলোচনা শুরু হয়। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ডিন অফ সায়েন্সের নামও উঠে এসেছিল। শোনা যাচ্ছিল তিনিও উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তবে অবশ্য নয়া উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিলেন অংক বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাহু। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিলেন ডিন অফ সায়েন্স। পদত্যাগপত্রে যদিও তিনি দাবি করেছেন, একান্ত ব্যক্তিগত কারণেই সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে সেই যুক্তি কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে অবশ্য আলোচনা চলছেই।