রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। ঘটনায় দোষীদের সাজা এখনও বিশ বাঁও জলে। আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় এখনও ঘটনার কিনারা হয়নি। এ বিষয়ে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেও লাভ হয়নি। এবার এসবের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে একক অনশনে (Sit in protest) বসলেন সেখানকারই অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ী। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে হোর্ডিং, ব্যানার নিয়ে অরবিন্দ ভবনের সামনে অনশনে বসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কেউ না থাকলেও অনুরাগীরা ‘স্যর’কে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।
ডঃ ইমনকল্যাণ লাহিড়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relation) বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। গত আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তার জেরে বহু বদলের সাক্ষী হয়েছে দেশের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দ্রুত তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে। ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জেল হেফাজতে রয়েছে। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (VC) দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। অধ্যাপক ইমনকল্যাণবাবুর অভিযোগ, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বারবার তাঁর কাছে বলার পরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি। ইসি বৈঠকেও সুরাহা হয়নি।
[আরও পড়ুন: বদলার আগুন! ‘অ্যানিম্যাল’-এর রক্তাক্ত ট্রেলারে রোমহর্ষক রণবীর, শিহরিত নেটপাড়া]
এসবের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো থেকে অরবিন্দ ভবনে অনশনে বসেছেন ইমনকল্যাণ লাহিড়ী। তাঁর কথায়, ”ছাত্রমৃত্যু থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত – বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও কাজ করছে না। বারবার বলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার বালাই নেই। অকর্মণ্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অবস্থান বিক্ষোভ। আমি অনশন চালিয়ে যাব।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপকের এই অনশনকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, ”আমি রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয় সচল রয়েছে। এসব বাজে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করার জন্যই উনি অনশনে বসেছেন।”