অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন পরতে পরতে ঘনিয়ে উঠছে রহস্য। কে বা কারা স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে দায়ী, তা খুঁজে বের করতে গিয়ে একের পর এক ব্যক্তির জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ আসছে তদন্তকারীদের হাতে। এবার সূত্র দিল এক ডায়েরি। সেখানে যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টকে (Dean of Students) লেখা এক চিঠিতে স্বপ্নদীপ উল্লেখ করেছিলেন ‘রুদ্রদা’ নামে এক সিনিয়রের কথা। কে এই রুদ্রদা? কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে? চিঠিতে সেসব বিস্তারিত লিখেছেন বাংলা প্রথম বর্ষের নিহত ছাত্র। এখন সেই চিঠি নিয়েই চলছে কাটাছেঁড়া। কারণ, চিঠির তারিখে গোলমাল খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, এই ঘটনায় রবিবার ধৃত দুই ছাত্র দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
৩ জুন তারিখ লেখা ডায়েরির পাতায় লেখা স্বপ্নদীপের সেই চিঠি (Letter)। তাতে ‘রুদ্রদা’ নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলা বিভাগের ছাত্র। ‘রুদ্রদা’কে বিভাগীয় সিনিয়র বলে উল্লেখ করে তাঁর অভিযোগ, সেই ‘দাদা’ই বলেছিল যে হস্টেলে সিনিয়রদের কথা শুনতেই হবে। নইলে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ‘রুদ্রদা’ নেশাগ্রস্ত, ধূমপান করে বলে চিঠি লেখা হয়েছে। তা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্বপ্নদীপ। ডিনকে সেই ভয়ের কথাই জানান। ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
[আরও পড়ুন: নীরব মোদি-বিজয় মালিয়াকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় সরকার, বিস্ফোরক ব্রিটিশ মন্ত্রী]
তবে এই চিঠি আদৌ স্বপ্নদীপের কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয় ৯ আগস্ট রাতে। আর চিঠিটি লেখা ১০ তারিখ। তাহলে কি অন্য কেউ তা লিখেছেন? তা কি অন্য কোনও ছাত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? সেই সম্ভাবনাও ওড়ানো যাচ্ছে না। এদিকে, হস্টেলে স্বপ্নদীপের উপর যে হেনস্তা হয়েছিল, তা স্বীকার করেছেন রাঁধুনিও। সূত্রের খবর, তিনি এও জানান যে স্বপ্নদীপকে ওই রাতে হেনস্তার পর তাঁকে দিয়ে জোর করে চিঠিও লেখানো হয়। সেই চিঠিই কি ‘রুদ্রদা’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।