রমেন দাস: রুদ্রদা! নদিয়ার বাসিন্দা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে এসেছে এই দাদার কথা। রহস্যে মোড়া ভাইরাল চিঠির বয়ানে রুদ্র (Viral Rudra Da) নামের ঢেউ উঠেছে মুহূর্তেই! মেইন হস্টেলের (Jadavpur Main Hostel) নৈরাজ্য অভিযোগের অন্দরেই নতুন রুদ্রের কথা শোরগোল ফেলেছে সর্বত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এ প্রকাশিত হলেন সেই রুদ্রদা। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পরেও নানা বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি।
আপনি কি সেই ভাইরাল রুদ্রদা?
রুদ্র: হ্যাঁ আমার কথাই ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (Rudra Chatterjee)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের (JU Bengali Department) ছাত্র। এই বছর তৃতীয় বর্ষ শেষ করলাম।
আপনার বিভাগের নবাগত ছাত্রের মৃত্যুতে আপনার নাম উঠে আসছে কেন?
রুদ্র: যে চিঠিটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে সব বয়ান যে ঠিক নয়, এমন নয়।
কেন বলছেন একথা?
রুদ্র: আমার সঙ্গে ওই ছাত্রের কথা হয়েছিল। ৭ আগস্ট আমাদের মধ্যে কথা হয়।
কী বলেছিলেন সেদিন?
রুদ্র: আমি ওঁকে বলি হস্টেলের কথা। আমি হস্টেলে থাকি না, কিন্তু সেখানে যে এমন জিনিস অর্থাৎ নৈরাজ্য চলতে থাকে। এমন বলেছিলাম।
কিন্তু ওই চিঠিতে যে অভিযোগ উঠছে, সত্যি?
রুদ্র: না। আমি এই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কেন হব। আমি বলছি না, ওই ছাত্রের পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, রুদ্র বলে কারওর কথা ও জানায়নি। আর ওই চিঠির হাতের লেখা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
তাহলে আপনার নাম কেন?
রুদ্র: আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এত ছাত্র থাকতে আপনাকেই কেন ফাঁসানো হবে?
রুদ্র: আমি এসএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য তাই।
[আরও পড়ুন: স্বপ্ন-শেষে নড়ল টনক! অবশেষে কী বদলাচ্ছে যাদবপুরে?]
এর মধ্যেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?
রুদ্র: অবশ্যই। হস্টেলে যারা অত্যাচার চালায় এদের তরফে এসব করা হয়।
হস্টেল নিয়ে এত অভিযোগ। আগে কেন সরব হননি আপনারাও?
রুদ্র: হস্টেলে নেশা থেকে শুরু করে প্রাক্তনীদের একাংশের থাকার জায়গা। সর্বত্র অভিযোগ রয়েছে। ওখানে নৈরাজ্য তো চলেই।
সব জেনেও চুপ ছিলেন! সহপাঠীকে বোঝাতে পারলেন না?
রুদ্র: প্রতিবাদ হয়েছে। সরব হয়েছি আমরা। কিন্তু ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়নি কখনওই!
যখন দেখলেন আপনার নাম উঠে আসছে এই ঘটনায়। ভয় লাগেনি?
রুদ্র: মানসিক চাপ তো বেড়েছিল। কিন্তু ভয় পাইনি। জানি, এসব চক্রান্ত। মূল ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল।
সেই কৌশলে একমাত্র আপনিই লক্ষ্য?
রুদ্র: এই প্রশ্ন আমারও। শুধু আমার রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে বলে এই চক্রান্ত।
এতবড় ঘটনা। এইরকম অভিযোগ, আগেও অনেকবার ঘটেছে বলছেন। ব্যবস্থা নেননি কেন?
রুদ্র: দায়ী আমরাও। কিন্তু অভিযোগ এলেই বারবার সরব হয়েছি। ওই ছাত্রকে সাবধান করেছি। কিন্তু…
আপনি ওর ঘনিষ্ঠ ছিলেন?
রুদ্র: একদিনের আলাপ। তাতে যদি মনেহয় ঘনিষ্ঠ, তাতে তো কিছু বলার নেই।
[আরও পড়ুন: ভয়ে সিঁটিয়ে যাদবপুর! প্রতিবাদের ঢেউয়েও এখনও কেন আতঙ্ক? খতিয়ে দেখল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল]
ওই চিঠি কে লিখতে পারেন বলে আপনি মনে করেন?
রুদ্র: আমি জানি না। তবে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের সঙ্গে যাঁরা জড়িত। এই কাজ ওঁদের হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করুক।
কী চাইছেন? ওই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন?
রুদ্র: অবশ্যই। এর বিচার চাই। যেসব মাথাদের ধরতে এখনও বাকি। ওরাও গ্রেপ্তার হোক। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চাই দ্রুত।