অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর কিনারায় আরও তৎপর প্রশাসন। এবার এই ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। গঠন করা হয়েছে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম বা সিট। এছাড়া ধৃত ১৩ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা করা হয়েছে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে ধৃতরা।
গত ৯ আগস্ট রাতে প্রাণ যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। তদন্তে ক্রমশই খুলছে একের পর এক জট। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব়্যাগিংয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। নাবালক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ, দীপশেখর দত্ত, নাসিম আখতার, সুমন নস্কর, অসিত সর্দার, সপ্তক কামিল্যা, সত্যব্রত রায়, মহম্মদ আসিফ আনসারি, অঙ্কন সরকার, মহম্মদ আরিফ ও হিমাংশু কর্মকার। পরে জয়দীপ ঘোষ নামে আরও এক প্রাক্তনীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রকে। মনে করা হচ্ছে, হস্টেলে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছিল তাকে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এই পকসো আইনে মামলা রুজুর আরজি জানিয়েছিল। সেইমতো পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে আচার্যর অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রাজভবনের সামনে ধরনায় উপাচার্য-অধ্যাপকরা]
এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে সরব ছাত্রের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুবিচারের আশ্বাস দেন। সেই মতো তৎপর প্রশাসন। এবার এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। সিট গঠন করেও শুরু হয়েছে তদন্ত। কীভাবে ছাত্রটির মৃত্যু হল, আর কে-ই বা ঘটনায় যুক্ত, তা খতিয়ে দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিনারার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।