রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের ছাত্রের অকালমৃত্যুর ঘটনার কিনারা করতে জোরকদমে আভ্যন্তরীণ তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। সোমবার ইউজিসি-কে সেই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রেজিস্ট্রার (Registrar) স্নেহমঞ্জু বসু। আর সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ইউজিসি সন্তোষপ্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল ইউজিসির প্রতিনিধিদের। কিন্তু আপাতত তাঁরা জানিয়েছেন যে সশরীরে আসছেন না। রিপোর্ট দেখে আপাতত সন্তোষপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পিছনে র্যাগিংয়ের (Ragging) নামে যে জঘন্য অত্যাচারের কথা উঠে আসছে, তা নিয়েই মূলত হস্তক্ষেপ করে ইউজিসি। তাদের গাইডলাইন থাকা সত্ত্বেও কেন এত নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই সিসিটিভি (CCTV)? কেন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ততটা সক্রিয় নয়? এসব প্রশ্ন তুলেছিল ইউজিসি-র প্রতিনিধিদল। বুধবার তাঁদের ক্যাম্পাসে গিয়ে সরেজমিনে দেখার কথা ছিল। ঘটনার প্রায় ৬ দিন পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় এসে ছাত্রমৃত্যুর প্রাথমিক শোক সামলে কাজে তৎপর হয়ে ওঠেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিভাগীয় অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে।
[আরও পড়ুন: ‘আগামী বছর এখানেই আপনাদের সামনে আসব’, লালকেল্লার ভাষণে INDIA-কে বার্তা মোদির]
মঙ্গলবার সকালে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট আপাতত সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই সম্ভবত বুধবার ইউজিসি-র প্রতিনিধিদল আসছে না ক্যাম্পাসে। একই কথা জানান প্রাক্তন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। রেজিস্ট্রার আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যা যা ত্রুটি আছে, তা দ্রুত কাটাতে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, ছাত্রমৃত্যুর কারণে এবছর স্বাধীনতা দিবসও পালিত হয়নি ক্যাম্পাসে। ছুটির দিনে শুনশানই ছিল।