গোবিন্দ রায়: র্যাগিংয়ের জেরে মেধাবী ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। আবারও অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ইমেল পাঠিয়েছেন এমএ (MA) ফাইনাল ইয়ারের সেই ছাত্রী। যদিও ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেছে কিনা, তা জানা যায়নি এখনও। তবে ওই ছাত্রীর অভিযোগ রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।
জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রীর অভিযোগ, পরীক্ষার সময়ে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেছেন ওই অধ্যাপক। তাতে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) অবনতি ঘটছে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে সর্বদা ভালো ফলাফল করলেও স্থির হয়ে ভালোভাবে আসন্ন পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। ছাত্রীর আরও অভিযোগ, ওই অধ্যাপক তাঁকে যৌন সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন একাধিকবার। কখনও সরাসরি, কখনও আবার নিজের অনুগতদের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন। কোনওবারই ওই ছাত্রী রাজি হননি। এর পরই তাঁর উপর চরম আঘাত নেমে আসে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি? কী বললেন সুকান্ত?]
গত ২১ তারিখ ওই ছাত্রীর সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দেওয়ার মাঝেই নাকি তাঁকে হল থেকে ডেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, তাঁকে ওই অধ্যাপক নিজের ঘরে ডেকে নেন। পরীক্ষায় টুকলির অভিযোগ তুলে অবাঞ্ছিতভাবে ছাত্রীর দেহ স্পর্শ করতে থাকেন ওই অধ্যাপক। ছাত্রী বিষয়টি রেকর্ড করে রাখার কথা বললে তিনি পালটা হুমকির সুরে জানান, তাঁর প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি না হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বের করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন অধ্যাপক! রেজিস্ট্রারকে লেখা অভিযোগপত্রে ছাত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, JUTA অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনে ওই অধ্যাপকের অত্যন্ত প্রভাব রয়েছে। আর সেই জোরেই তিনি এত হুমকি দিচ্ছেন।