অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের উত্তপ্ত জগদ্দল (Jagaddal) বাজার। রবিবার সকালেও বাজার চত্বরে বোমাবাজির অভিযোগ। কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান খুলতেই হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। পরে অবশ্য বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ব্য়বসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ অর্জুন সিংও (Barrackpore MP Arjun Singh)। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
গত শুক্রবার জগদ্দল বাজারে খুন হন চটকলের কর্মী টিঙ্কু ওরফে রিজওয়ান আলি (২৬)। তারপর শনিবার ফের বোমাবাজি হয় ওই এলাকায়। শনিবার দিনভর বন্ধ ছিল দোকানপাট, বাজার। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে থমথমে ছিল এলাকা। রবিবার সকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকন খুলতেই ফের বিপত্তি বাঁধে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা, বাগদার TMC বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]
অভিযোগ, সকালে বাজার খোলার পরই কয়েকজন যুবক এসে ফের বাজার বন্ধ করিয়ে দেয়। বলে, রিজওয়ান খুনে মূল অভিযুক্ত গণেশকে যতক্ষণ না গ্রেপ্তার করা হবে ততক্ষণ এই বাজার বন্ধ রাখতে হবে। জোর করে বাজার বন্ধ, হুমকির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁরাও দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। আসেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
এদিন সাধারণ মানুষের মনে সাহস জোগাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাংসদের কথায়, “দোকান খুলে ব্যবসা চালু করুন। সাধারণ মানুষ দোকানে আসলেই দুষ্কৃতীরা খানিকটা হলেও ভয় পাবেন।” এরপর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি জানান, দিনের পর দিন জগদ্দল ভাটপাড়া অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা চলতে পারে না। পুলিশ কমিশনারের সাথে কথাও বলেন অর্জুন। জগদ্দলের রুস্তম গুমটি অঞ্চলকে স্বাভাবিক রাখতে দুটি নির্দিষ্ট জায়গায় পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানায় এলাকার বাসিন্দারা।