সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের অধিকাংশ নেতানেত্রী যে সুরে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সেই একই সুরে এবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি। বিরোধীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জগনের দাবি, "বিশ্বের উন্নত কোনও গণতন্ত্রে ইভিএম ব্যবহার হয় না। ব্যালট ব্যবহার হয়। আমাদেরও সেই দিকেই এগোনো উচিত।"
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "সুবিচার শুধু পাইয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়, সবার মনে হওয়া উচিত সুবিচার হয়েছে। তেমনই গণতন্ত্রকে শুধু বাঁচিয়ে রাখা নয়। গণতন্ত্র বেঁচে আছে, সেটা যেন সবার মনে হয়। বিশ্বের তাবড় তাবড় গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে ভোট প্রক্রিয়ায় আর ইভিএম ব্যবহার হয় না। আমাদেরও ব্যালট পেপারের দিকে এগোনো উচিত।"
[আরও পড়ুন: বিয়ের আগে উদ্দাম পার্টি সোনাক্ষী-জাহিরের! শেয়ার করলেন একাধিক ছবি]
জগনের (Jagan Mohon Readdy) এই মন্তব্য ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সঙ্গে একেবারে মিলে যাচ্ছে। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের তাবড় নেতারা এর আগে একাধিকবার ইভিএম বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমনকী ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও ইভিএম বিতর্ক চলছে। বিজেপি তথা এনডিএ নেতারা যখন প্রবলভাবে ইভিএমের পক্ষে সওয়াল করছেন, তখন ইন্ডিয়া নেতাদের সুরে ইভিএম নিয়ে জগনের প্রশ্ন তোলাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মুছে ‘আর্টিকেল ৩৭০’, দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে চিন নিয়েও রদবদল NCERT-র]
জগন রেড্ডি ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। এই পাঁচ বছর এনডিএ বা তৎকালীন ইউপিএ কোনও শিবিরে না থাকলেও অসময়ে বিজেপিকেই সমর্থন করছেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ বিলেই মোদি সরকার জগনের সমর্থন পেয়ে এসেছে। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা তথা অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি হাত মিলিয়ে নেয় জগনের বিরোধী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে। নির্বাচনে ভরডুবি হয় জগনের। অন্ধ্রের ১৭৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১১টিতে জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। লোকসভায় জগনের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৪ আসন। সম্ভবত বিজেপি-টিডিপি জোট হয়ে যাওয়ায় বিজেপির থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন জগন। আগামী দিনে যা সংসদে সমস্যায় ফেলতে পারে এনডিএ সরকারকে।