সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এবার জয়পুরে! পিসিকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করল ভাইপো। কুকীর্তি লুকোতে দেহাংশ বালতিতে ভরে হাইওয়ের ধারে ফেলে এসেছিল অভিযুক্ত। তবে শেষরক্ষা হল না। সিসিটিভি ফুটেজ হাতিয়ার করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল জয়পুর পুলিশ।
৩২ বছরের অনুজ শর্মা রাজস্থানের জয়পুরের বিদ্য়ানগরের বাসিন্দা। গতবছর করোনায় তাঁর মা মারা গিয়েছেন। বর্তমানে বাবা, বোন আর পিসি সরোজের সঙ্গে থাকতেন অনুজ। গত ১১ ডিসেম্বর বাড়িতে ছিলেন না অনুজের বাবা ও বোন। কাজে ইন্দোরে গিয়েছিলেন। বাড়িতে পিসি সরোজের সঙ্গে ছিলেন অনুজ। সেদিনই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার জেদ ধরেন অনুজ। বাধা দেন পিসি। এনিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কথা কাটাকাটি চরম উঠলে হাতুড়ি দিয়ে পিসির মাথায় আঘাত করে অনুজ। সেইসময় চা বানাচ্ছিলেন সরোজ। জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পরতেই পাথর কাটার ছুরি দিয়ে পিসির গলা কেটে খুন করে অনুজ।
[আরও পড়ুন: লগ্নে শনি, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে মেসির রাশি ঘেঁটে দুশ্চিন্তায় জ্যোতিষীরা]
নিজের কীর্তি ঢাকতে পিসির দেহ ছুরি দিয়ে ১০ টুকরো করে ভাইপো। এরপর বালতি আর বড় স্যুটকেসে দেহাংশ ভরে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দিয়ে আসে অনুজ। নিজের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলতে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে অনুজ। পুলিশকে জানায়, পিসিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু প্রথম থেকে অনুজের উপর সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। জেরা করতেই বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে সরোজকে বাড়ি থেকে বেরতে দেখা যায়নি। বরং অনুজকে বালতি আর বড় স্যুটকেস নিয়ে বের হতে দেখা যায়। এরপর টানা জেরার সামনে ভেঙে পড়ে অনুজ।
তবে খুন নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই অভিযুক্তর। এমনই জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, অভিযুক্ত শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান। ওর মধ্যে আগে থেকেই মানসিক বিকৃতি ছিল। রান্নাঘরেও রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।