shono
Advertisement

হড়পা বিপর্যয়: ‘কৃত্রিম বাঁধ নয়, মাল নদীতে করা হয়েছিল চ্যানেল’, দাবি জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের

দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে ৮ জনের।
Posted: 06:03 PM Oct 07, 2022Updated: 06:04 PM Oct 07, 2022

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লক্ষ্য ‘হড়পা-বিপর্যয়’ প্রতিরোধ। ভুটানের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রেইন গেজ সিস্টেম’ বসানোর ভাবনা জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের। ড্রাগনের দেশের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস পেলে আটকানো যাবে দুর্ঘটনা। কালীপুজোর আগেই এবিষয়ে ফের একবার পদক্ষেপ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।

Advertisement

ভুটানের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের তথ্য ‘রিয়েল টাইমে’ আসছে না। ফলে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে প্রাণহানি ঘটেছে ৮ জনের। হড়পার স্রোতে ভেসে জখম হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৩ জন। এদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে কোনও ‘মিসিং ডায়েরি’ হয়নি বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। পঞ্চায়েত প্রধানদের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর এবার ইডির হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন]

মাল নদীতে হড়পার প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয়রাও। তার ফলে ক্ষতি অনেক কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন,” মাল নদীতে কৃত্রিমভাবে কোনও বাঁধ দেওয়া হয়নি। ভাসানের জন্য ‘চ্যানেল প্যাকিং’ করেছিল মাল পুরসভা।সিভিল ডিফেন্স, পুরকর্মী ও দমকল কর্মীরা হাজির ছিলেন ওই ঘাটে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোন আগাম খবর ছিল না।”  ঠিক এই কারণেই আগামী দিনে বিপর্যয় মোকাবিলায় পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের তথ্য দ্রুত হাতে পেতে চাইছে জেলা প্রশাসন।

এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) বিবেক ভাসমে, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অশ্বিনী রায় মাল মহকুমা শাসক পি.বি.সালুঙ্কে ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মিতেন্দ্র ছেত্রীকে পাশে নিয়ে জেলাশাসক বলেন,” গত মাসের শেষের দিকে ভুটানের প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। ভুটানের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাতের তথ্য জানার জন্য ‘রেইন গেস সিস্টেম’ বসানোর বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে ছিল।এবিষয়ে ফের ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই সিস্টেম বসাতে চাই।”

কালীপুজোর পর আসছে ছটপুজো আসছে। ডুয়ার্সের একাধিক নদী হড়পা কবলিত।আর ওই নদীগুলোতে নেমেই পুজো সারেন ছটব্রতীরা। ছটঘাটগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করতে চলেছে প্রশাসন। মালবাজারের মর্মান্তিক ঘটনার পরে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। কালীপুজোর আগেই এই সিস্টেম চালু করতে চান জেলাশাসক। তিনি আরও বলেন, “মাল নদীতে প্রথমে জল খুব কম ছিল।হঠাৎ জল বেড়ে যায়। হড়পার ফলে ওখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সঠিক সময়ে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি তথ্য পেলে এই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যেত। ভুটানে ওই সিস্টেম বসাতে বিলম্ব হলে ভারতীয় ভূখন্ডে রেইন গেস সিস্টেম বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।” এদিন মালবাজারের হড়পা বিপর্যয় নিয়ে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক। মৃত ও জখমদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: কার্নিভ্যালের পরই মমতার বিজয়া সম্মিলনী, আমন্ত্রণ পাবেন শিল্প-সহ বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টরা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement