আকাশ মিশ্র: বিদ্যা বালান (Vidya Balan) ও শেফালি শাহ (Shefali Shah)। এই দুটো নামই ছবি দেখার জন্য যথেষ্ট। কেননা, বলিউডের এই দুই দুরন্ত অভিনেত্রী জানেন, ঠিক কোন ছবিতে, ঠিক কীভাবে অভিনয় করতে হয়। আর যখনই দুই স্ট্রং অভিনেত্রী পর্দায় মুখোমুখি আসেন, তখন বিষয়বস্তু শুধুই অনুঘটক মাত্র! আমাজন প্রাইমে সদ্য় মুক্তি পাওয়া ‘জলসা’ ঠিক এরকমই এক ছবির উদাহরণ। যেখানে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় বিদ্য়া ও শেফালির অভিনয়। তবে এক্ষেত্রে পরিচালক সুরেশ ত্রিবেণী পটু হাতের টানটান চিত্রনাট্য বিদ্যা ও শেফালির অভিনয়কে ক্রমাগত সাহায্য করে গিয়েছে। এটাই ‘জলসা’ ছবির সবচেয়ে ভাল দিক।
একটা দুর্ঘটনা। দুই নারী চরিত্র। তাদের মানসিক দ্বন্দ্ব। পরিচালক ত্রিবেণী ‘জলসা’র চিত্রনাট্যকে ঠিক এই তিনটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন। মোড়ক দিয়েছেন থ্রিলারের। তবে এসবকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিদ্যা ও শেফালির অভিনয়। বলা যায়, বহুদিন পর বিদ্যা মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন ‘জলসা’ ছবিতে। আর শেফালি অবাক করেছেন। বহু দৃশ্য়েই বিদ্য়াকে টেক্কা দিয়েছেন তিনি। সংলাপ কম, শুধুমাত্র চোখ দিয়েই যেন অভিনয় করে গিয়েছেন শেফালি।
[আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভের অন্দরের কাহিনি ‘সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর’, কেমন হল ঋদ্ধি-ঊষসীর নয়া সিরিজ?]
এই সিরিজের গতি প্রথম দিকে একটু বেশিই শ্লথ। তবে ঠিক দ্বিতীয়ভাগে এসে ছবিটার মোড় ঘুরে। আর ক্লাইম্য়াক্স চমকে দেওয়ার মতো। কয়েকটি দৃশ্য বিশেষ করে, বিদ্যা ও তাঁর সহকর্মীর প্রেম প্রেম বন্ধুত্বকে একটু বাদ দিলে খুব একটা ক্ষতি হত না। বরং গল্পটা আরও টান টান হত। তবে এসব খুঁতকে পাশে রাখলে জলসা দেখার মতো ছবি। বিশেষ করে বিদ্য়া ও শেফালির অভিনয়ের জন্য বার বার দেখা যায় এই ছবি। তবে এমন একটি ডার্ক ছবিকে পরিচালক কেন ‘জলসা’ নাম দিলেন, তা কিন্তু রহস্যই রয়ে যায়!